ব্যক্তিগত আহবানে "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ" বলে সমস্বরে আওয়াজ তোলা অথবা মিছিলে স্লোগান দেয়া- পর্ব-২
--------------------------------------------------------------------
(বিদেশী লেখা থেকে অনূদিত)
অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী
২.من طريق أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ مَالِكِ الدَّارِ، قَالَ:
أَصَابَ النَّاسَ قَحْطٌ فِي زَمَنِ عُمَرَ ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اسْتَسْقِ لِأُمَّتِكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا ، فَأَتَى الرَّجُلَ فِي الْمَنَامِ فَقِيلَ لَهُ : " ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ، وَأَخْبِرْهُ أَنَّكُمْ مسْقِيُّونَ وَقُلْ لَهُ : عَلَيْكَ الْكَيْسُ ، عَلَيْكَ الْكَيْسُ "، فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ فَبَكَى عُمَرُ ثُمَّ قَالَ : يَا رَبِّ لَا آلُو إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ .
আবু সালিহ থেকে বর্ণিত, মালিক আদ দার (রাহঃ) বলেন, যখন ওমর রাঃ এঁর জমানাতে দুর্ভিক্ষ হলো (খড়া) এক ব্যক্তি হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার কবর শরীফের কাছে আসলেন এবং বললেন, "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ!" আপনার উম্মতের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করুন, তারা নিশ্চয়ই ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে গেছে। অতঃপর হুজুর রাসুলুল্লাহ ﷺ ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে আসলে এবং ঐ ব্যক্তিকে বলা হলো, তুমি ওমরের কাছে যাও, তাকে সালাম দাও এবং তাকে খবর দাও যে তোমরা অচিরেই বৃষ্টিপ্রাপ্ত হবে এবং তাকে বল তাকে আরো চতুর হতে হবে, তাকে আরো চতুর হতে হবে। ঐ ব্যক্তি ওমর রাঃ এর কাছে আসলেন এবং ঐ বিষয়ে অবহিত করলেন অতঃপ ওমর রাঃ কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন, হে আমার প্রভূ! আমার সামর্থ্যের বাহিরে যা আছে তা ছাড়া আমি কোন কিছু ত্যাগ করি না।
তথ্যসূত্রঃ ১.মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, ৬/৩৫৬, হাদিস নং-৩২০০২,
২.ইমাম বোখারী সংক্ষেপে তার তারিখুল কাবিরে এনেছেন, ৭/৩০৪,
৩.ইমাম বাইহাকি, দালায়েলুন নুবুয়্যাহ, ৭/৪৭,
৪.ইবনু আসাকির, তারিখ, ৪৪/৩৪৫
প্রসঙ্গতঃ ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শাইবাহ যিনি ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম এবং ইমাম আবু দাউদসহ আরো বহু বিখ্যাত মুহাদ্দিসের সরাসরি ওস্তাদ তাঁর বিখ্যাত হাদিসের কিতাব এই মুসান্নাফ। এতে আমাদের আকিদা ও হানাফি মাজহাবের আমলের বহু সহিহ ও হাসান হাদিস রয়েছে।
শায়খ আলবানি এই হাদিসখানার ওপরেও জুলুম করেছেন। যেমনটা তিনি আরো অনেক সহিহ হাদিসের ওপরে করেছেন।
তিনি বলেছেন, যেহেতু মালিক আদ দার মজহুল বা অপরিচিত তাই এই হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ ফতহুল বারিতে ইমাম ইবনে হাজর রাহঃ মালিক আদ দার রাহঃ এঁর পরিচয় দিয়েছেন তিনি ওমর রাঃ এঁর বায়তুল মালের উজির বলে, যেই লোক প্রিয় নবিজির ﷺ রউজা শরিফে গিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছিলেন উনার নাম উল্লেখ করেছেন হজরত বিলাল ইবনে হারিস আল মুজনি রাঃ বলে। এই হাদিসের সনদের কেউই মজহুল বা অপরিচিত নন।
এক সনদে হাদিসখানা আ'মাশ রাহঃ থেকে আন আনা দ্বারা তাদলিস হয়েছে। কিন্তু ইমাম আমাশ রাহঃ দ্বিতীয় পর্যায়ের মুদাল্লিস ছিলেন তাই উনার আন আনাতে কোন সমস্যা নেই। উনার তাদলিস বর্ননা গ্রহনযোগ্য এতে ইমামগন একমত।
৩.
حديث ابن عمر أنه خَدِرَت رِجْله، فقيل له: ما لِرِجْلِك؟ قال: اجتمعَ عَصَبُها. قيل له: اذْكُر أحَبَّ النَّاسِ إليك قال: يا محمدُ، فَبَسَطَها
ইমাম বোখারী (রাহঃ) তার আদাবুল মুফরাদে একখানা হাদিস এনেছেন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে, যখন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃর পায়ে ঝিঝি ধরল তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে আপনার পায়ে কী হয়েছে। তিনি বললেন, রগগুলো সব এক হয়ে গেছে (রগে টান পড়েছে), তখন তাকে বলা হলো, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ!" অতঃপর পা বিছিয়ে দিলেন। (আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বোখারী, হাদিস নংঃ ৯৬৪ অথবা ৯৭৫ এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খেয়ানত করেছে। আদাবুল মুফরাদের মূল কয়েকটি আরবি নুসখাতে ইয়া মুহাম্মাদ বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে ইয়া কেটে দিয়ে শুধু মুহাম্মদ বলা হয়েছে। এটা ইলমি আমানতের খেয়ানত)
৪. ইমাম নববী রাহঃ তার বিখ্যাত সহিহ মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাতে এবং কিতাবুল আজকারেও বর্ননা করেছেন, সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃর সামনে কিছু মানুষ বসেছিলেন। হঠাৎ একজনের পায়ে ঝি ঝি ধরলে, একজন সাহাবি বললেন, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মাদﷺ! সাথে সাথে ভাল হয়ে গেলেন। এরকম আরো বহু আসার সাহাবাগন থেকে বর্ণিত হয়েছে। (আল আজকার, দারুল কিতাব আল আরাবি, বৈরুত লেবানন, পৃষ্ঠা নং-২৭১)
৫. আল্লামা শাহাবুদ্দিন খাফজি মিসরি রাহঃ তার বিখ্যাত শিফা শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাসিমুর রিয়াদে উল্লেখ করেন, এটা মদীনাবাসীদের একটা সাধারণ চর্চিত রীতি ছিল। মদীনাবাসীরা বিপদে ও দুঃখ কষ্টে ইয়া মুহাম্মাদ বলে আহবান করতেন। (নাসিমুর রিয়াদ, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-৫৫)
৬.উম্মুল মুমিনিন সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন, হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন জিবরিল আলাইহিস সালাম প্রথম ওহী নিয়ে আসলেন, গাছ-বৃক্ষ পাথর সকলেই বলতে লাগল আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।
(মাজমাউজ জাওয়াইদ, খন্ড নং-৮, পৃষ্ঠা নং-২৬০)
৭.মুসলিম শরিফের সহিহ হাদিসে এসেছে যে, হিজরতের দীর্ঘ হাদিসে বলা হচ্ছে, হজরত বারা ইবনে আজিব রাঃ বর্ননা করেছেন, যখন হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতুল মুনাওয়ারাতে প্রবেশ করলেন তখন,
فصعد الرجال والنساء فوق البيوت وتفرق الغلمان والخدم فى الطرق ينادون يا محمد يا رسول الله يا محمد يا رسول الله
নারী পুরুষ সবাই ছাদের ওপরে ওঠে গেল, শিশু ও দাসদাদীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে লাগল, ইয়া মুহাম্মাদﷺ ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সহিহ মুসলিম, খন্ড, ১৯, পৃষ্ঠা নং-১১২, হাদিস নং ৭৭০৭)
(চলবে ইন শা আল্লাহ)
--------------------------------------------------------------------
(বিদেশী লেখা থেকে অনূদিত)
অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী
২.من طريق أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ مَالِكِ الدَّارِ، قَالَ:
أَصَابَ النَّاسَ قَحْطٌ فِي زَمَنِ عُمَرَ ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اسْتَسْقِ لِأُمَّتِكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا ، فَأَتَى الرَّجُلَ فِي الْمَنَامِ فَقِيلَ لَهُ : " ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ، وَأَخْبِرْهُ أَنَّكُمْ مسْقِيُّونَ وَقُلْ لَهُ : عَلَيْكَ الْكَيْسُ ، عَلَيْكَ الْكَيْسُ "، فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ فَبَكَى عُمَرُ ثُمَّ قَالَ : يَا رَبِّ لَا آلُو إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ .
আবু সালিহ থেকে বর্ণিত, মালিক আদ দার (রাহঃ) বলেন, যখন ওমর রাঃ এঁর জমানাতে দুর্ভিক্ষ হলো (খড়া) এক ব্যক্তি হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার কবর শরীফের কাছে আসলেন এবং বললেন, "ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ!" আপনার উম্মতের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করুন, তারা নিশ্চয়ই ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে গেছে। অতঃপর হুজুর রাসুলুল্লাহ ﷺ ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে আসলে এবং ঐ ব্যক্তিকে বলা হলো, তুমি ওমরের কাছে যাও, তাকে সালাম দাও এবং তাকে খবর দাও যে তোমরা অচিরেই বৃষ্টিপ্রাপ্ত হবে এবং তাকে বল তাকে আরো চতুর হতে হবে, তাকে আরো চতুর হতে হবে। ঐ ব্যক্তি ওমর রাঃ এর কাছে আসলেন এবং ঐ বিষয়ে অবহিত করলেন অতঃপ ওমর রাঃ কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন, হে আমার প্রভূ! আমার সামর্থ্যের বাহিরে যা আছে তা ছাড়া আমি কোন কিছু ত্যাগ করি না।
তথ্যসূত্রঃ ১.মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, ৬/৩৫৬, হাদিস নং-৩২০০২,
২.ইমাম বোখারী সংক্ষেপে তার তারিখুল কাবিরে এনেছেন, ৭/৩০৪,
৩.ইমাম বাইহাকি, দালায়েলুন নুবুয়্যাহ, ৭/৪৭,
৪.ইবনু আসাকির, তারিখ, ৪৪/৩৪৫
প্রসঙ্গতঃ ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শাইবাহ যিনি ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম এবং ইমাম আবু দাউদসহ আরো বহু বিখ্যাত মুহাদ্দিসের সরাসরি ওস্তাদ তাঁর বিখ্যাত হাদিসের কিতাব এই মুসান্নাফ। এতে আমাদের আকিদা ও হানাফি মাজহাবের আমলের বহু সহিহ ও হাসান হাদিস রয়েছে।
শায়খ আলবানি এই হাদিসখানার ওপরেও জুলুম করেছেন। যেমনটা তিনি আরো অনেক সহিহ হাদিসের ওপরে করেছেন।
তিনি বলেছেন, যেহেতু মালিক আদ দার মজহুল বা অপরিচিত তাই এই হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ ফতহুল বারিতে ইমাম ইবনে হাজর রাহঃ মালিক আদ দার রাহঃ এঁর পরিচয় দিয়েছেন তিনি ওমর রাঃ এঁর বায়তুল মালের উজির বলে, যেই লোক প্রিয় নবিজির ﷺ রউজা শরিফে গিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছিলেন উনার নাম উল্লেখ করেছেন হজরত বিলাল ইবনে হারিস আল মুজনি রাঃ বলে। এই হাদিসের সনদের কেউই মজহুল বা অপরিচিত নন।
এক সনদে হাদিসখানা আ'মাশ রাহঃ থেকে আন আনা দ্বারা তাদলিস হয়েছে। কিন্তু ইমাম আমাশ রাহঃ দ্বিতীয় পর্যায়ের মুদাল্লিস ছিলেন তাই উনার আন আনাতে কোন সমস্যা নেই। উনার তাদলিস বর্ননা গ্রহনযোগ্য এতে ইমামগন একমত।
৩.
حديث ابن عمر أنه خَدِرَت رِجْله، فقيل له: ما لِرِجْلِك؟ قال: اجتمعَ عَصَبُها. قيل له: اذْكُر أحَبَّ النَّاسِ إليك قال: يا محمدُ، فَبَسَطَها
ইমাম বোখারী (রাহঃ) তার আদাবুল মুফরাদে একখানা হাদিস এনেছেন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে, যখন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃর পায়ে ঝিঝি ধরল তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে আপনার পায়ে কী হয়েছে। তিনি বললেন, রগগুলো সব এক হয়ে গেছে (রগে টান পড়েছে), তখন তাকে বলা হলো, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, "ইয়া মুহাম্মাদ ﷺ!" অতঃপর পা বিছিয়ে দিলেন। (আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বোখারী, হাদিস নংঃ ৯৬৪ অথবা ৯৭৫ এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খেয়ানত করেছে। আদাবুল মুফরাদের মূল কয়েকটি আরবি নুসখাতে ইয়া মুহাম্মাদ বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে ইয়া কেটে দিয়ে শুধু মুহাম্মদ বলা হয়েছে। এটা ইলমি আমানতের খেয়ানত)
৪. ইমাম নববী রাহঃ তার বিখ্যাত সহিহ মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাতে এবং কিতাবুল আজকারেও বর্ননা করেছেন, সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃর সামনে কিছু মানুষ বসেছিলেন। হঠাৎ একজনের পায়ে ঝি ঝি ধরলে, একজন সাহাবি বললেন, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মাদﷺ! সাথে সাথে ভাল হয়ে গেলেন। এরকম আরো বহু আসার সাহাবাগন থেকে বর্ণিত হয়েছে। (আল আজকার, দারুল কিতাব আল আরাবি, বৈরুত লেবানন, পৃষ্ঠা নং-২৭১)
৫. আল্লামা শাহাবুদ্দিন খাফজি মিসরি রাহঃ তার বিখ্যাত শিফা শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাসিমুর রিয়াদে উল্লেখ করেন, এটা মদীনাবাসীদের একটা সাধারণ চর্চিত রীতি ছিল। মদীনাবাসীরা বিপদে ও দুঃখ কষ্টে ইয়া মুহাম্মাদ বলে আহবান করতেন। (নাসিমুর রিয়াদ, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-৫৫)
৬.উম্মুল মুমিনিন সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন, হুজুর রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন জিবরিল আলাইহিস সালাম প্রথম ওহী নিয়ে আসলেন, গাছ-বৃক্ষ পাথর সকলেই বলতে লাগল আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।
(মাজমাউজ জাওয়াইদ, খন্ড নং-৮, পৃষ্ঠা নং-২৬০)
৭.মুসলিম শরিফের সহিহ হাদিসে এসেছে যে, হিজরতের দীর্ঘ হাদিসে বলা হচ্ছে, হজরত বারা ইবনে আজিব রাঃ বর্ননা করেছেন, যখন হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতুল মুনাওয়ারাতে প্রবেশ করলেন তখন,
فصعد الرجال والنساء فوق البيوت وتفرق الغلمان والخدم فى الطرق ينادون يا محمد يا رسول الله يا محمد يا رسول الله
নারী পুরুষ সবাই ছাদের ওপরে ওঠে গেল, শিশু ও দাসদাদীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে লাগল, ইয়া মুহাম্মাদﷺ ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সহিহ মুসলিম, খন্ড, ১৯, পৃষ্ঠা নং-১১২, হাদিস নং ৭৭০৭)
(চলবে ইন শা আল্লাহ)
ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ) বলে সমস্বরে আওয়াজ তোলা অথবা মিছিলে স্লোগান দেয়া- পর্ব-২
Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম
on
9:19 PM
Rating:
No comments: