মিলাদুন্নবী صلى الله عليه و آله وسلم কুরআন ও হাদিসের আলোকে-

Lecture : Milad-Un-Nabi or Mawlid-Un-Nabi  صلى الله عليه و آله وسلم
- Masum Billah Sunny

এখানে যা যা বলা হয়েছে :-
১) মিলাদুন্নবী (সা) কুরআনের আলোকে
২) মিলাদুন্নবী (সা) হাদিসের আলোকে
৩) মিলাদুন্নবী (সা) উদযাপনে জগত বিখ্যাত ইমাম,মুহাদ্দিসিন,মুফাসসিরিন,মুজাদ্দিদিন গনের আকিদা

মিলাদ-উন-নবী বা মাওলিদ-উন-নবী  صلى الله عليه و آله وسلم এর অর্থ (Meaning) :-
মিলাদ অর্থ জন্মবৃত্তান্ত আর  আন-নবী মানে আমাদের নবী  صلى الله عليه و آله وسلم

বিস্তৃত ভাবে বলতে গেলে:-

Meaning:-

আসুন আমরা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়টা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করি |

মূলত ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশি বা আনন্দ প্রকাশ করা |
আর "মীলাদ ও " নবী" দুইটি শব্দ একত্রে মিলিয়ে হয় মীলাদুন্নবী | " মীলাদের" তিনটি শব্দ রয়েছে - ميلاد মীলাদ, مولد মাওলিদ, مولود মাওলূদ | মীলাদ শব্দের অর্থ হচ্ছে, জন্মবৃত্তান্ত (মানে হল বিস্তৃতভাবে বংশবৃত্তান্ত, স্থান-কালসহ আলোচনা করা)

অর্থাৎ, আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থে ميلاد النبي বা " মীলাদুন্নবী" বলতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফকেই বুঝায় |

আর পারিভাষিক বা ব্যাবহারিক অর্থে,মীলাদুন্নবী বলতে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে উনার ছানা- সিফাত আলোচনা করা, উনার প্রতি সালাত সালাম পাঠ করা, এবং উনার পবিত্রতম জীবনী মুবারকের সামগ্রিক বিষয়ের আলোচনা বুঝানো হয় !


ওহাবী ও আহলে হাদিসগন একে বিদাত বলে আসুন দেখি রাসুল (সা) এর জন্ম ও বংশবৃত্তান্ত আলোচনা কুরআন হাদিসে আছে কিনা।



♦♦এক নজরে আল-কুরআনে মিলাদুন্নবী  صلى الله عليه و آله وسلم ♦♦


:::::::~~Al imran 81,164.
:::::::~~An nisa 59,175,164.
:::::::~~Mayedah 15
:::::::~~At taowba 33,128.
:::::::~~Saffh 6,8.
:::::::~~Jomoah 2.
:::::::~~Balad 1-2.
:::::::~~Al Ibrahim 28 (বুখারী শরিফের শানে নুযুল)
:::::::~~Al Ibrahim 34.
:::::::~~Nahol 83.
:::::::~~Insira h 1~4.
:::::::~~Ambia 107.
:::::::~~Fath 8,9.
:::::::~~Ahjab 56.
:::::::~~Ka'f 2.
:::::::~~Anfal 33
:::::::~~Doha 11
:::::::~~Fath 28
:::::::~~Hijor 72
:::::::~~Ara'f 157
:::::::~~Ibrahim 5 [About Milad of Musa(AS) ]
:::::::~~Mayyidah 20 [About milad of Musa(AS) ]



আল-কুরআনের আলোকে মিলাদুন্নবী (সা) :-

Al-Quran ও তফসীর থেকে কিছু আয়াতের ব্যাখ্যা:-



♦আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

اللهم ربنا انزل علينا ماءدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا

অর্থ : আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক ! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে ( বেহেশতী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন | খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ যেদিন খাঞ্চা নাজিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ স্বরূপ হবে !"

( সূরা মায়িদা ১১৪)

উক্ত আয়াত শরীফে কি বুঝা গেল ? হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে একটি খাঞ্চা ভর্তি খাবার চাইলেন, এবং এই নিয়মত পূর্ন খাবার নাযিল হওয়ার দিনটা উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ হবে বললেন |
এই খাদ্য সহ খাঞ্চা নাযিল হওয়ার দিন যদি ঈদের দিন হয় ,, তাহলে সমগ্র জগৎ এর নিয়মাত, সকল নিয়মতের মূল , নি'মাতুল কুবরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন মুবারক কি ঈদ হবে না ?
খুশি করা যাবে না ??
অবশ্যই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের দিন ঈদ হবে, শুধুমাত্র ঈদ ই হবেনা বরং কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ হবে !

♦কতিপয় আয়াত শরীফ উল্লেখ করা হলো-

★ إنا أرسلناك شاهدا ومبشر ونذير لتؤمنوا بالله و رسوله و تعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة وأصيلا

অর্থ : (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষ্যদাতা,সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারী স্বরূপ প্রেরণ করেছি , যেন তোমরা (বান্দারা) মহান আল্লাহ পাক উনার উপর এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর ঈমান আনো এবং তোমরা উনার সম্মান করো ! এবং ছানা-সিফত প্রসংশা করো সকাল-সন্ধ্যা !""

( সূরা ফাতাহ ৮,৯)

★ لقد جاءكم رسول من انفسكم عزيز عليه ماعنتم حريص عليكم بالمؤمنين رءوف رحيم

অর্থ : তোমাদের কাছে তোমাদের জন্য একজন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, তোমাদের দুঃখ-কষ্ট উনার কাছে বেদনাদায়ক, তিনি তোমাদের ভালাই চান,মু'মিনদের প্রতি স্নেহশীল এবং দয়ালু !"

( সূরা  তাওবা ১২৮)

★وماارسلناك الا رحمة للعالمين

অর্থ : হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে সমস্ত কায়িনাতের জন্য রহমত হিসাবে পাঠিয়েছি !"'

( সূরা আম্বিয়া ১০৭)

★ لقد من الله علي المؤمنين إذ بعث فيهم رسولا من أنفسهم يتلوعليهم اياته ويزكيهم ويعلمهم الكتاب وااحكمة

অর্থ : নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক মু'মিনদের প্রতি ইহসান করেছেন যে, তিনি তাদের মাঝে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, যিনি তাদেরকে আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ সমূহ তিলাওয়াত করে শোনান এবং তাদের অন্তর সমূহকে পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদের কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন !""

( সূরা আল ইমরান ১৬৪)



♦আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

قال بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا هو خيرمما يجمعون

অর্থ : হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি উম্মাহকে বলে দিন , মহান আল্লাহ পাক অনুগ্রহ ও রহমত( হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রেরন করেছেন , সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে | এ খুশি প্রকাশ করাটা সবচাইতে উত্তম, যা তারা সঞ্চয় করে রাখে !"
√ সূরা ইউনূছ ৫৮

♦উক্ত আয়াত শরীফে তাফসিরে বিখ্যাত মুফাসসির, সমগ্র মাদ্রাসায় যাঁর তাফসীর পড়ানো হয়, হাফিযে হাদীস, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--

عن ابن عباس رضي الله تعال عنهما قال في الاية فضل الله العلم و رحمته محمد صلي الله عليه و سلم قال الله تعالي وما ارسلناك الا رحمة للعلمين

অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, এ আয়াত শরীফের তাফসিরে এখানে আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ বলতে " ইলিম" বুঝানো হয়েছে | আর রহমত দ্বারা বুঝানো হয়েছে " হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" উনাকে | যেমন, আল্লাহ পাক বলেন, আমিতো আপনাকে তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি |"

দলীল-
√ তাফসীরে দূররুল মানছুর - ১০ নং সূরা - ১১ পারা- সূরা ইউনূছ ৫৮

√ তাফসীরে রুহুল মায়ানী !
আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ এবং ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় |
যেমন সকল ফিক্বাহের কিতাবে আছে-
الامر للوجوب
অর্থাৎ, আদেশ সূচক বাক্য দ্বারা ফরজ ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় !

দলীল-
√ বাদায়েউস সানায়ে

দেখুন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-
اقيموا الصلوة

অর্থ : তোমরা নামাজ আদায় করো | "
কুরআন শরীফের এই নির্দেশ সূচক বাক্য দ্বারা নামাজ ফরজ হয়েছে |

তদ্রুপ সূরা ইউনূছের ৫৮ আয়াতের فليفرحوا বা খুশি প্রকাশ করো (ঈদ পালন করো) এটা আদেশ সূচক বাক্য |

তাহলে এই দিকে খেয়াল করলে, এ আদেশের দ্বারা রাসুলের আগমনে কৃতজ্ঞ হয়ে আল্লাহর প্রতি খুশি প্রকাশ করা উত্তম বলে প্রমানিত হয় !

মূলত কুরআন শরীফে অনেক  জায়গায় আল্লাহ পাক
উনার প্রদত্ত নিয়ামতকে স্মরন করতে বলেছেন:-

♦আল্লাহ পাক বলেন:-

اذكروا نعمة الله عليكم

অর্থ : তোমাদের যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে, তোমরা সে নিয়ামতকে স্মরন করো !"

( সূরা আল ইমরান ১০৩)

প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়ামত কি ?
এ ব্যাপারে সমস্ত জগৎবাসী একমত যে, আল্লাহ পাক উনার সবচাইতে বড় নিয়মত হচ্ছেন " হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম " !
শুধু তাই নয় সমস্ত জাহানের সকল নিয়মাত হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই হাদীয়া করা হয়েছে |
আর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন " আন নি'মাতিল কুবরা আলাল আলাম" !
অর্থাৎ, সমস্ত কায়িনাতের সবচাইতে বড় নিয়ামত !



♦ইমাম ইবনুল জাওযী নিজ ‘তাফসীর’গ্রন্থে সূরা ইউনূসের উক্ত ৫৮ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, “আদ্ দাহাক হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: এই আয়াতে ‘ফযল’ বলতে জ্ঞান (অর্থাৎ, আল-কুরআন ও তাওহীদ)-কে বুঝিয়েছে; আর ‘রহমত’ বলতে মহানবী(ﷺসা) -কে বোঝানো হয়েছে।” [ইবনে জাওযী কৃত ‘যা’দ আল-মাসীর ফী এলম আত্ তাফসীর’, ৪:৪০]


♦ইমাম আবু হাইয়ান আন্দালুসী এ সম্পর্কে বলেন, “ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ (ﷺসা) -কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।” [তাফসীর আল-বাহর আল-মুহীত, ৫:১৭১]


♦ইমাম জালালউদ্দীন সৈয়ুতী (রহ:) বলেন, “আবু শায়খ হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর ফযল বলতে জ্ঞানকে, আর রহমত বলতে রাসূলুল্লাহ(ﷺসা) -কে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ বলেন, (হে রাসূল) আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি জগতসমূহের জন্যে আমার রহমত (করুণা) করে (সূরা আম্বিয়া, ১০৭ আয়াত)।” [আস্ সৈয়ুতী প্রণীত দুররে মনসূর, ৪:৩৩০]


♦আল্লামা আলূসী ব্যাখ্যা করেন যে এমন কি ‘ফযল’ (অনুগ্রহ) বলতেও হযূর পাক (দ:)-কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যেমনিভাবে বর্ণিত হয়েছে আল-খতীব ও ইবনে আসাকির থেকে যে আয়াতোক্ত ‘ফযল’ হলেন মহানবী(ﷺসা) । [আলূসী রচিত রূহুল মাআনী, ১১:১৪১]

ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّـهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَاللَّـهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ ﴿٤﴾
”এটি আল্লাহর অনুগ্রহ; যাকে চান দান করেন; এবং আল্লাহ বড় অনুগ্রহশীল।” (সূরা জুমু’আহ্, ৪ আয়াত)

♦আয়াতের শেষাংশে ‘আল্লাহ বড় (অশেষ) অনুগ্রহশীল’ বাক্যটিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) ব্যাখ্যা করেন এভাবে:
আল্লাহর অনুগ্রহ অফুরন্ত, যেহেতু তিনি মহানবী(সাﷺ) -কে ইসলাম ও নবুয়্যত দান করেছেন; এও বলা হয়েছে যে এর মানে ঈমানদারদের প্রতি তিনি ইসলামের নেয়ামত বর্ষণ করেছেন। আর এ কথাও বলা হয়েছে যে এর অর্থ তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি তিনি অনুগ্রহ করেছেন মহানবী (ﷺসা) এবং কেতাব (কুরআন) প্রেরণ করে। [তানবির আল-মিকবাস মিন তাফসীর ইবনে আব্বাস]


★ ياايها النبي انا ارسلناك شاهدا و مبشر و نذيرا وداعيا الي الله باذنه وسراجا منيرا

অর্থ : হে আমার হবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সাক্ষীদাতা, সুসংবাদ দাতা, ভয় প্রদর্শনকারী এবং আমার নির্দেশে আমার দিকে আহ্বানকারী ও নূরানী প্রদীপ রুপে প্রেরন করেছি !""

( সূরা আহযাব ৪৬)

★ قد جاعكم من الله نور

অর্থ : নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে এক মহান নূর ( হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসেছেন !""

( সূরা মায়েদা ১৫)

সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবীর আলোচনা (শানে নুযুল দেখলে পাবেন):-

★ وإذ أخذ الله ميثاق النبيين لما اتيتكم من كتاب و حكمة ثم جاءكم رسول مصدق لما معكم لتؤمنن به ولتنصرنه قال أأقررتم وأخذتم علي ذلكك إصري قالوا أقررنا قال فاشهدوا وأنا معكم من الشاهدين

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী- রসূল আলাইহিমুস সালামগন উনাদের থেকে এ মর্মে ওয়াদা নিলেন যে, আমি আপনাদের কিতাব ও হিকমত হাদিয়া করবো | অতঃপর আপনাদের প্রদত্ত কিতাবের সত্য প্রতিপাদনকারী হিসাবে একজন রসূল (হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করবেন ! আপনারা অবশ্যই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনাকে পেলে খিদমত করবেন ! মহান আল্লাহ পাক বললেন, আপনারা কি আমার এ ওয়াদা স্বীকার ও গ্রহণ করলেন ? উনারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা স্বীকার করে নিলাম | তখন আল্লাহ পাক বললেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম !"

( সূরা আল ইমরান ৮১)



♦নিয়ামতের শোকার আদায় করতে আল্লাহ পাক বলেন-

وأما بنعمة ربك فحدت

অর্থ : আপনার রব উনার নিয়ামতের কথা প্রকাশ করুন !"

( সূরা আদ্ব দ্বুহা ১১)

♦উক্ত নিয়ামত সমূহের ব্যাখ্যায় হাদীস শরীফে আছে --

قال والله هم كفار قريش و محمد نعمة الله تعالي

অর্থ : আল্লাহ পাক উনার কসম ! তারা ( যারা নবীজী উনার বিরোধীতা করেছিলো) কুরায়িশ কাফির আর হযরত সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত !"

দলীল-
√ বুখারী শরীফ ১/২২১

♦আর নিয়ামত পূর্ন দিন সমূহ স্বরন করা বা আলোচনা করার কথা কুরআন শরীফে ইরশদ হয়েছে--

وذكرهم بايام الله ان في ذلك لايات لكل صبار شكور

অর্থ : আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিন সমূহ স্বরন করান ! নিশ্চয়ই এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল শোকরগুযার বান্দাদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে !"

( সূরা ইব্রাহীম ৫)

♦আল্লাহ পাক বলেন:-

قال عيسي ابن مريم يبني اسراءيا اني رسول الله اليكم مصدقا لما بين يدي من التورة و مبشرا برسول ياتي من بعدي اسمه احمد

অর্থ :হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে বনী ইসরাঈল ! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হিসাবে প্রেরিত হয়েছি ! আমার পূর্ববর্তী তাওরাত শরীফের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূল উনার সুসংবাদ দানকারী যিনি আমার পরে আগমন করবেন, উনার নাম মুবারক হচ্ছে আহমদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !""

( সূরা ছফ ৬)

♦এ আয়াত শরীফ উনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মীলদ শরীফ সম্পর্কে বলেন--

" আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো! তা হলো- আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া আমি হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ ও আমার মাতার সুস্বপ্ন ! আমার বিলাদতের সময় আমার মাতা দেখতে পান যে, একখানা নূর মোবারক বের হয়ে শাম দেশের রাজ প্রসাদ সমূহ আলোকিত করে ফেলেছে !""

দলীল-
√ মুসনাদে আহমদ ৪র্থ খন্ড ২৭ পৃষ্ঠা !

√ মুস্তদরেকে হাকিম ২য় খন্ড ৬০১ পৃ।



♦♦♦হাদিসের আলোকে মিলাদুন্নবী (সা) ♦♦♦

এর চাইতে উতকৃষ্ট প্রমান কোন হাদিসে আর নেই।এখানে স্পষ্ট যে মীলাদুন্নবী (সা) এ খুশি হলে কাফিরও আজাব থেকে কিছু হলেও মুক্তি পায় আর মীলাদুন্নবীর দান বৃথা যায় না।

কোন কাফির কে আল্লাহ শাস্তি মাফ করেন নি করবেন ও না কিন্তু যেই আবু লাহাবের বিরোদ্ধে কুরআন নাজিল হয়েছে সেই আবু লাহাবও মীলাদুন্নবীর খুশিতে পুরষ্কার পাওয়ার হাদিসটি:-

বুখারী শরীফে উল্লেখিত ঘটনাটি না বললেই নয়,

হযরত অরওয়া ইবনে জুবায়ের (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বলেন,
সুহাইবাহ আবু লাহাবের দাসী ছিল। আবু লাহাব ওনার কাছে থেকে (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বেলাদাতের (অর্থাৎ মিলাদুন্নবীর ) সুসংবাদ প্রাপ্ত হয়ে (মিলাদুন্নবীর খুশিতে) সুহাইবাহ কে আযাদ করে দিয়েছিল।যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করেছিল তখন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্ঠদের কেউ (হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশে বলেন, “তোমার অবস্থা কেমন?” আবু লাহাব উত্তরে বলল, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি,কেবল যে দিন (রাসুলুল্লাহ (দ.) জন্ম হওয়ার খুশিতে অর্থাৎ মিলাদুন্নবীর খুশিতে ) সুহাইবাকে (তর্জনী ও মধ্যমা দু’টি আঙ্গুলের ইশারায়) আযাদ করে দিয়েছিলাম, ঐ কারনে (প্রতি সোমবার) আংগুল দুটির মধ্যে কিছু পানি জমে আমি ঐ পানি (চুষে) পান করে থাকি ও প্রতি সোমবার (জাহান্নামের কঠিন) আযাবকে হাল্কাবোধ করে থাকি।”

Reference :-

♦This hadith is also recorded in these :-

♦Masnad Ahmed : Hadith 25953 under the heading of لو كانت تحل لي لما تزوجتها قد أرضعتني وأباها ثويبة مولاة بني هاشم فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن and again in Hadith 26865 with matan of
ابنة أخي من الرضاعة وأرضعتني وأبا سلمة  ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن

♦Al-Sunnan Al Kubra (li Nisai): Hadith 5394/5395

♦Al Nisai’ al-Sughra : Hadith Nob 3287/3284/3285/3286

♦Sunnan Ibne Majah: Hadith 1939 Under the heading of ( ابنة أخي من الرضاعة أرضعتني وأباها ثويبة فلا تعرضن علي أخواتكن ولا بناتكن)

♦Sahih Muslim: Hadith Nob.1451(2634), 1451(2635) under the same matan


♦Sahih ibne Hibban: Hadith Nob, 4110 (4199), 4111(4200), the matan of hadith is إن زينب تحرم علي وإنها في حجري وأرضعتني وإياها ثويبة فلا تعرضن علي بناتكن ولا أخواتكن ولا عماتكن ولا خالاتكن ولا أمهاتكن
اطراف الحدیث

♦Sahih al Bukhari Sharif : 2644/2645/2646/3105/4796/5099/5100/5101/5103/5106/5107/5124/5133/5239/5372/6156/


♦Sunan Kubra by Imam Baihaqi, The Book of Nikah.

♦Jame Ul Ahadith Wal Maraseel, Masaneed us Sahabah, Hadith no. 43545

♦Kanzul 'Ummal Vol 6, Hadith no. 15725

♦Musannaf Abdul Razzaq, Vol 7, Hadith no. 13546.

♦Imam A’aini (ra) in his book “Umdatul Qari, Vol: 14,Page. No. 45;

♦Imam Ibn Kathir in “Seerat un Nabawiyyah” (vol. 1 pg 224)

♦Sharh Zurqani, Vol 1, Pg. no. 261

♦Subul ul Huda war Rashad Vol 1 Pg. no. 367.

♦Imam Ibn Asqalani in "Fath al bari"

♦ibn al-Qayyim : [Tuhfat al-Mawdud bi Ahkam al-Mawlud, p.19]

♦Ibn 'Abd al-Wahhab, M., Mukhtasar Sirat ar-Rasul, 'Milad an-Nabi'




বুখারী শরীফে উক্ত হাদীসের পৃষ্ঠায় শেষের দিকে এ হাদীসের পাদটীকায় বর্ণিত আছে,সুহাইবাহ আবু লাহাবকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর জন্মের সুসংবাদ দেয়ার কারনে আবু লাহাব তাকে আযাদ করে দিয়েছিল। অতঃপর এ আযাদ করাটা (পরকালে) আবু লাহাবের উপকার এসেছে। এ কাজ তার উপকারে আসার অর্থ হল তার এ করম প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বরকতে অবশিষ্ট ছিল। অন্যান্য কাজের নেয় বিনষ্ট হয়ে যায়নি।



হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:)- বলেন, "

সম্ভবতঃ উল্লেখিত বর্ণনাটি হযরত আব্বাস (রা:)-এর দেখা স্বপ্নের, যা’তে তিনি মৃত আবূ লাহাবকে সোমবার দিন আযাব থেকে রেহাই পেতে দেখেছিলেন। মহানবী (দ:)-এর বেলাদাতের সময় সে তার দাসী (সোয়াইবিয়া)-কে ওই খোশ-খবরী নিয়ে আসার জন্যে মুক্ত করে দিয়েছিল।

Reference :-
♦Musanaf Abdur Razzaq Vol 7 Page 478

♦Shoib Ul Iman lil baihaqi Vol 1 Page 261

♦Dalil Un Nabuwah Vol 1 page 150

♦Allama Abul Qasim Suhaili ne Al Rauz ul Unf Vol 192

♦Hafiz Ibne Kathir Ne Serat Nabwiya Vol 1 Page 224

♦Al Bidaya Wan nihaya Vol 2 page 332

♦Imam Bagwi Ne Sharah Sunnah Vol 9 page 95

♦Madari jun Nabuwah Vol 2 page 19

♦Muwahibul Laduniya Vol 1 Page 27

♦Hafiz Nasiruddin Damishqi Ne Maurd ul Sawdi Fee Mauldul Hadi Al Hadi Vol 1 Page 197

♦Deobandiyoun ke Peshwaa  Anwar Shah Kashmiri ne Faizul Bari Vol 4 Page 278

♦Gair Muqalid aur Deobandiyoun ke peshwa Abdullah Bin Muhammed bin Abdul Wahab Najdi Ne Mukhtasar Seerat e Rasul Page 13 par Bhee Darj Kiyaa hai

♦Aur Dounou ke Peshwa
Ibne Qayim ne Tahfatul Maulood Ba hukaamul Maulood Page 19
♦Ibrahim Sialkotvi Ne Seerat e Mustafa page 153 (Hashiya).


♦তারীখে ইয়াকুবী ১ম খন্ড ৩৬২ পৃষ্ঠা !

♦ফতহুল বারী শরহে বুখারী ৯ম খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা !



ইবনে জাওজী বলেন, “যখন ঐ আবু লাহাব কাফির,যার তিরস্কারে কোরআনে সূরা নাজিল হয়েছে। মিলদুন্নাবী (দ.) এ আনন্দ প্রকাশের কারনে জাহান্নামে পুরস্কৃত হয়েছে। এখন উম্মতে মুহাম্মাদী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর ঐ একত্ববাদী মুসলমানের কি অবস্থা,যে নবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এর বেলাদাতে খুশি হয় এবং রাসুল (দ.) এর ভালবাসায় তার সাধ্যনুযায়ী খরচ করে!(আল্লাহ মহাপুরষ্কারদাতা)


মিলাদুন্নবী صلى الله عليه و آله وسلم সুন্নতে রাসুল :-

বিশুদ্ধ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে,
ﺱﺀﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺻﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﻓﻘﺎﻝ
ﻓﻴﻪ ﻭﻟﺪﺕ ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻧﺰﻝ ﻋﻠﻲ ﻭﺣﻲ

অর্থ: হযরত আবু কাতাদা আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
একদা হুযূরপাপক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে সোমবারে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন যে, এদিন আমি জন্মগ্রহন করেছি (অর্থাৎ আমার মিলাদ) , আর এদিনই আমার উপর
ওহী বা কুরআন শরীফ নাজিল হয়েছে।"

Reference :-

√সহীহ মুসলিম,হাদীছ শরীফ নং-২৮০৭
√সুনানে আবু দাউদ, হাদীছ শরীফ
নং-২৪২৮
√ সুনানে ইমাম বায়হাকী তাঁর ‘সুনান আল-কুবরা’ (৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০০, হাদীস নং ৮১৮২, ৮২৫৯)
√ সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীছ শরীফ
নং-২১১৭
√ মুসনাদে আবি আওয়ানা, হাদীছ শরীফ
নং-২৯২৬
√ মুসনাদে আহমাদ, হাদীছ শরীফ
নং-২২৫৫০ !
√ইমাম নাসাঈ নিজ ‘সুনান নাসাঈ
√ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ:
√ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:

হাদিস হতে প্রমাণিত স্বয়ং হুযুর নিজের
বিলাদত শরীফের (মিলাদুন্নবীর) খুশিতে (আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপনের) উদ্দেশ্যে ছাগল
যবেহ করেছিলেন ।"

Reference :-

√ ৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম সুয়ুতী আল হাবিলুল ফাতোয়া ১ম
খন্ড ১৯৬ পৃষ্ঠা।
√ ইমাম সুয়ুতী হুসনুন মাকাসিদ ফি আমালিল মওলিদ
৬৫ পৃষ্ঠা
√ ইমাম নাবহানী (রহ) হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭
পৃষ্ঠা।




অপর হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হযরত
আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার বিলাদত শরীফের সপ্তম দিনে পশু
জবাই করে আক্বীকা করেছেন !'"

Reference :-

√ খাসায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ৮৫ পৃষ্ঠ।


♦হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় এসে দেখেন যে সেখানকার ইহুদীরা ১০ই মুহররম তারিখে রোযা রাখছেন। এ ব্যাপারে তাদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা উত্তরে বলেন, ‘এই দিনটিতেই মূসা (আ:) ও বনী ইসরাইল বংশ ফেরাউনের ওপর বিজয় লাভ করেন। তাই আমরা এর মহিমা সমুন্নত রাখতে রোযা পালন করে থাকি।’ অতঃপর মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘মূসা (আ:)-এর ওপর তোমাদের চেয়ে আমরা বেশি হক্কদার।’ এমতাবস্থায় তিনি মুসলমানদেরকে রোযা রাখার আদেশ করেন।

Reference :-

খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৪৭, হাদীস নম্বর-১১৩০ (সহীহ মুসলিম, দারুল কুতাব আল-ইলমিয়্যাহ)


ইসা (আ) এর মিলাদ বর্ননা:-


♦হযরত আনাস বিন মালিক (রা:) বর্ণনা করেন যে মহানবী (ﷺ) তাঁর মে’রাজে গমন সম্পর্কে ব্যাখ্যাকালে বলেন, জিবরীল আমীন (আ:) বেথলেহেমে আমাকে বোরাক থেকে নেমে দোয়া করতে অনুরোধ করেন, যা করা হলে তিনি বলেন: ’এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) আপনি কোথায় দোয়া করেছেন তা জানেন কি? আপনি বেথলেহেমে দোয়া করেছেন, যেখানে ঈসা (আ:)-এর জন্ম হয়েছিল।’

ইমাম বায়হাকী (রহ:) এই হাদীসটি অপর এক সাহাবী হযরত শাদ্দাদ বিন আওস (রা:) থেকে ভিন্ন এসনাদে বর্ণনা করেন। বর্ণনাশেষে তিনি বলেন, ‘এর এসনাদ (সনদ) সহীহ।’

Reference :-

[আল-বায়হাকী কৃত ’দালাইল আন্ নবুওয়াহ’, (২/৩৫৫-৩৫৬)]
খণ্ড-১, পৃষ্ঠা নম্বর-২৪১, হাদীস নম্বর-৪৪৮ (সুনান আন্ নাসাঈ)




রাসুল (সা) এর নিজ ভাষায় মিলাদুন্নবী ( বংশ পরিচয়) বর্ননা :-

قال العباس بلغه صلى الله عليه وسلم بعض ما يقول الناس قال فصعد المنبر فقال من أنا قالوا أنت رسول الله فقال أنا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب إن الله خلق الخلق فجعلني في خير خلقه وجعلهم فرقتين فجعلني في خير فرقة وخلق القبائل فجعلني في خير قبيلة وجعلهم بيوتا فجعلني في خيرهم بيتا فأنا خيركم بيتا وخيركم نفسا-1/169، رقم الحديث-3532

অনুবাদ-হযরত আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ [একবার কোন কারণে] মিম্বরে দাঁড়িয়ে [সমবেত লোকদেরকে] জিজ্ঞেস করলেন-আমি কে? সাহাবীগণ বললেন-আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তখন তিনি বললেন-আমি আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে মুহাম্মদ। আল্লাহ তাআলা তামাম মাখলূক সৃষ্টি করে আমাকে সর্বোত্তম সৃষ্টির অন্তর্ভূক্ত করেছেন [অর্থাৎ মানুষ বানিয়েছেন]। এরপর তাদেরকে দু’ভাগে [আরব ও অনারব] বিভক্ত করে আমাকে উত্তম ভাগে [আরবে] রেখেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যে সর্বোত্তম গোত্রে পাঠিয়েছেন। এরপর সে গোত্রকে বিভিন্ন পরিবারে বিভক্ত করেছেন এবং আমাকে সর্বোত্তম পরিবারে প্রেরণ করেছেন। সুতরাং আমি ব্যক্তি ও বংশ সর্বদিক থেকে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।

Reference :-

♦সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৩৫৩২,
♦মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭৮৮,
♦আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৭৫,
♦মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩২২৯৬

♦মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং-৫১৩]
♦দালায়েলুল নবুওত বায়হাকী ১ম খন্ড ১৬৯ পৃ,
♦কানযুল উম্মাল ২য় খন্ড ১৭৫ পৃঃ]


অপর হাদিসে আছে:-

" নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের বংশধর হতে হযরত কিনানা আলাইহিস সালামকে মনোনীত করেছেন,

এরপর কিনানা আলাইহিস সালামের
বংশধর হতে কুরাইশকে মনোনীত করেছেন ।

কুরাইশের বংশধর হতে বনী হাশিমকে মনোনীত করেছেন,
আর বনী হাশিম থেকে আমাকে (হুজুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মনোনীত করেছেন ।"

Reference :-

√ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ২৪৫ পৃষ্ঠা- হাদীস
২২৭৬
√ তিরমীযি শরীফ ২য় খন্ড ২০১ পৃষ্ঠা-
হাদীস ৩৬০৫ ।

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের
মীলদ শরীফ বর্ননা সম্পর্কে বলেন :-

" আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু
কথা জানাবো! তা হলো-
আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের
দোয়া আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ওনার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ ও আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল.. "

Reference :-

Book: Miskatul Masabih
page: 513


Book: Kanjul Ummal
Part: 11
Page: 173


From: Ibne Hibban
Book: Shahih ibne hibban
Volume: 9
Page: 106


From: Ibn al-Jawzi
Book: al-Wafa'
Page: 91,
chapter: 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam


From: Imam Haythami
Book: Majma` al-zawa'id (8:221/409)


From: Al Haakim,
Book: Al mustadrak,
Volume :002,
Page No. 615-616/ 705/724
References of Hadith number 4233
or V:3 page: 27


From: Imam Ahamad
Book: Musnade Ahamad
volume: 4
page: 127
Hadith: 16701


From : Ibn e Sa'd
Book : Tabqaat Al Kubra
Volume : 1
Page : 150


From : Bayhaqi
Book : Dalaeel un Nubuwwah
Volume : 1
Page : 83
again 1:110 & 2:8


From : Ibn e 'Asakir
Book : Tareekh Madeenat Damishq
Volume/page : 1:170 and 3:393


From : Qurtabi
Book : Jami' Al Ahkaam Al quran
Volume : 2
Page : 131


From : Tabari
Book : jami' Al Bayan
Volume : 1
Page : 556


From : Ibn e Katheer
Book : Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume : 4
Page : 360-361


From : Samarqani
Book : Tafseer
Volume : 3
Page : 421


From : Tabarai
Book : Tareekh Al Umam wal Mulook
Volume : 1
Page : 458


From : Ibn e Ishaaq
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 28


From : Ibn e Hisham
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 302


Book: Al-Bidaya wan Nehaya
Volume : 2
page: 321


Book: Musnade Afzar
Hadith: 2365


Book: Tafsire Dor're Monsor
volume : 1
page: 334


Book: Maoware dul
zamman
volume:1
pagepage:512



From : Halabi
Book : Seerat Al Halabiyyah
Volume : 1
Page : 77





উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বণর্না করেছেন যে,
রসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম এবং আবুবকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার নিকট নিজ নিজ মিলাদ শরীফের বণর্না করেছেন।

Reference :

♦ইমাম বায়হাকী এই বণর্না কে হাসান বলেছেন
♦আল যামুল কাবীর লিত তাবরাণী ১ম খন্ড ৫৮ পৃঃ,
♦মযমাঊল যাওয়াঈদ ৯ম খন্ড ৬৩ পৃঃ



ইমাম বায়হাকী (রহ) তার সুনানে বায়হাকী (এটা সহীহ হাদিস এর অন্যান্য প্রসিদ্ধ কিতাবের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য একটা কিতাব) মীলাদুন্নবীর অনেক বর্ননা করেছেন তা থেকে এবং আরো কিছু কিতাব থেকে এ সম্পর্কে কিছু হাদিস দেয়া হল।এইগুলো সব মীলাদুন্নবীর উত্তম নিদর্শন:-

♦ মা আমেনা বলেন তার জন্মলগ্নের পরমুর্হূতেই এতটা নূর
প্রকাশিত হল যার আলোতে র্পুব ও পশ্চিম প্রান্তের সব কিছু
আলোকিত হয় । যার আলোতে সিরিয়ার শাহী মহল
মা আমেনা দেখতে পান ।
(বায়হাকি, ১ম থন্ড,পৃঃ৮০ , মুসনাদে আহমদ , ৪/১২৭পৃঃ)

♦ফাতিমা বিন সুলায়মান বর্ননা করেন যে, প্রিয় নবী (সাﷺ) এর
বিলাদাতের সময় আমি দেখতে পেলাম যে, বায়তুল্লাহ নূরের
জ্যোতিতে জ্যোর্তিময় হয়ে উঠল এবং তারকারাজি জমীনের এত
নিকটর্বতী হয়ে এল যে , আমার ধারনা হতে লাগল এগুলো আমার
উপর এসে পড়বে,
(বায়হাকি, নেহায়াতুল আরব, ১/৭৬ পৃঃ)

♦পারস্য সম্রাট কিসরার রাজ প্রসাদের ১৪টি গম্বুজ ভেঙ্গে পড়ে,
এবং পারস্যের অর্ণিবান শিখা যা এক হাজার বছর পর্যন্ত এক
মুহূর্তের জন্যও নিভেনি , রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর বিলাদাতের মুর্হুতে তা নিভে যায় ।
(বায়হাকি , ১২৬ পৃঃ)



♦হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- মহান আল্লাহর পক্ষ হতে আমার জন্য একটি বিশেষ মর্যাদা হলো, আমি খতনাকৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছি। তাই আমার লজ্জাস্থান অন্য কেউ দেখেনি।
 (মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া, শরহে জুরকানী ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং-২৩২)


♦হযরত আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন , রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম খতনা অবস্থায় দুনিয়ায় তাশরিফ আনেন ।
( নেহায়াতুল আরব ১/৭৭ পৃঃ)



মিলাদুন্নবী صلى الله عليه و آله وسلم বর্ননা সুন্নতে সাহাবা :-




♦মিলাদুন্নবী (দ.) আলোচনা করা সাহাবী (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম)'দের সুন্নাত।

যেমন,ইমাম আবু ঈসা মুহাম্মদ তিরমিযী (রাহমাতুল্লাহি আলায়হি) তাঁর “সুনানে তিরমিযী” শরীফে ‘মীলাদুন্নবী(দ.) শিরোনামে একটি অধ্যায় প্রণয়ন করেছেন যেখানে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওসাল্লাম) এর জন্ম তারিখ নিয়ে আলোচনা সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন,হাদীস্তি হল-
হযরত মত্তালিব বিন আবদুল্লাহ আপন দাদা কয়েছ বিন মোখরামা হতে বর্ণনা করেছেন,তিনি বলেছেন-আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ‘আমুল ফীল’ অর্থাৎ-বাদশাহ আব্রাহার হস্তি বাহিনীর উপর আল্লাহর গযব নাজিল হওয়ার বছর জন্মগ্রহন করেছি। হযরত ওসমান বিন আফফান (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু)বনি ইয়ামর ইবনে লাইস’এর ভাই কুবাছ ইবনে আশইয়াম কে বললেন, “আপনি বড় না রাসুল (দ.)?” তখন তিনি বললেন, “রাসুল আমার চেয়ে অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে আর আমি জন্ম সুত্রে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) থেকে আগে মাত্র।” (তিরমিযী,২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নং-২০৩)

♦রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় আগমনের
সময় কোন প্রকার অপবিত্র বস্তু শরীরে ছিল না । পূতপবিত্র
অবস্থায় দুনিয়ায় এসেছেন ।
( নেহায়াতুল আরব ১/৭৬ পৃঃ)

♦নূরে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়ের পেট থেকেই
নাভি কাটা অবস্থায় দুনিয়ায় এসেছেন
(সূরাবাদী ৪১৫ পৃঃ)

♦হযরত সুফিয়া (রাঃ) বলেন , তিনি দুনিয়ায় আগমন করার পর
ছেলে না মেয়ে এটা দেথতে চাইলাম হঠাৎ একটি নূর ওনার নীচের অংশ
ঢেকে ফেলে , তাতে আমরা কেউ ওনার লজ্জা স্থান দেখতে পাইনি ।
তিনি আরও বলেন তখনও ভোর হয়নি হঠাৎ দেখি পুরো ঘর আলোকিত
হয়ে আছে,
বাহিরে এসে দেখি সমগ্র জাহান নূরনবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর নূরে আলোকিত হয়ে আছে ।
(বায়হাকি )




হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।

♦উনার সম্পর্কে বলা আছে --

رايت رسول الله صلي الله عليه و سلم في اليقظة بضعا و سبعين مرة

অর্থ : হযরত জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি আখেরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জাগ্রত অবস্থায় সত্তর বারের বেশি দেখেছি !"

দলীল-
√ আল ইয়াকীতু ওয়াল জাওয়াহের ১ম খন্ড ১৩২ পৃষ্ঠা !

√ দালায়িলুছ ছুলুক

♦ তিনি এই দুই খানা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন:-

ﻋَﻦْ ﺍَﺑِﻰ ﺍﻟﺪَّﺭْﺩَﺍﺀِ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻪُ ﺍَﻧَّﻪﻣَﺮَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍِﻟٰﻰﺑَﻴْﺖِ ﻋَﺎﻣِﺮِ ﺍﻻَﻧْﺼَﺎﺭِﻯِّ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻳُﻌَﻠِّﻢُ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻻَﺑْﻨَﺎﺋِﻪﻭَﻋَﺸِﻴْﺮَﺗِﻪ ﻭَﻳَﻘُﻮْﻝُ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَ ﻫٰﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡَﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟﺼَّﻠٰﻮﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻓَﺘَﺢَﻟَﻚَ ﺍَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻼﺋِﻜَﺔُ ﻛُﻠُّﻬُﻢْﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭْﻥَ ﻟَﻚَ ﻣَﻦْ ﻓَﻌَﻞَ ﻓِﻌْﻠَﻚَ ﻧَﺠٰﻰﻧَﺠٰﺘَﻚَ

অর্থ: হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিতআছে যে, একদা তিনি রসূলে পাকছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার সাথে হযরত আমিরআনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুউনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেনযে, তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন,জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতিনি যমীনে তাশরীফ এনেছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটেছে)। বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাবলী শ্রবণ করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা তিনি উনার রহমতের দরজা আপনার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ উনারা আপনারজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মতো এরূপ কাজকরবে, সেও আপনার মতো নাজাত(ফযীলত) লাভ করবে।”
সুবহানাল্লাহ!



ﻋَﻦْ ﺍِﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻰَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﻰ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﺍَﻧَّﻪٗﻛَﺎﻥَ ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺫَﺍﺕَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪٖ ﻭَﻗَﺎﺋِﻊَﻭِﻻﺩَﺗِﻪٖ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ،ﻓَﻴَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭَﻥْ ﻭَﻳُﺤَﻤِّﺪُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻠَّﺖْﻟَﻜُﻢْ ﺷَﻔَﺎﻋَﺘِﻰْ

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার নিজ গৃহে ছাহাবীগণকে সমবেত করে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং আল্লাহপাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত-সালাম) দুরূদ শরীফ পাঠকরছিলেন। এমন সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হয়ে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে দেখে বললেন: “আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।”

সুবহানাল্লাহ! ! !

দলীল---
♦সুবুলুলহুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম- হযরত ইমামজালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
♦মাওলুদুল কবীর - হাফিযে হাদীস, ইমাম ইবনে হাযর মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি
♦ আত তানভীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযার - শায়খ হাফিযে হাদীস আবিল খত্তাব ইবনে দাহিয়্যা রহমাতুল্লাহি আলাইহি
♦ দুররুল মুনাযযাম - সপ্তম অধ্যায় - প্রথম পরিচ্ছেদ
♦ইশবাউল কালাম
♦হাক্বীকতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী ৩৫৫ পৃষ্ঠা


♦মক্কা শরীফের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ,ইমামুল মুহাদ্দেসিন আল্লামা শিহাব উদ্দিন আহমদ ইবনে হাজার আল হায়তামী আশশাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আলাইহি (যার জন্ম ৮৯৯ হিজরী, ইনতিকাল ৯৭৪ হিজরী) তার লিখিত “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস গুলো তিনি বর্ণনা করেন-

♦ সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) বলেন-

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ صلي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَان رفيقي فىِ الجَنّةِ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।

দলীল-
√ আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭

♦ দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রা) বলেন-

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ َاحيا الاسْالاَمُ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”।

দলীল-
√আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭

♦তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রা) বলেন -

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر َوحُنَيْنُ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”।

দলীল-
√আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮

♦চুতর্থ খলিফা হযরত আলি (রা) বলেন :-

مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَخرج مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাকে সম্মান করবে হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।

দলীল-
√আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮

♦আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উপরে উল্লিখিত বর্ণনা উপস্থাপন করে বলেছেন যে, আমার উপরোক্ত হাদীস সমূহের সনদ জানা রয়েছে। কিন্তু
কিতাব বড় হয়ে যাবার আশংকায় আমি সেগুলো অত্র কিতাবে উল্লেখ করিনি।

♦আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর উক্ত কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। উনার রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।



♦হযরত খুরাইম বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাবুক থেকে ফেরার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আমি গমন করলাম অতঃপর তাঁর নিকট ইসলাম গ্রহণ করলাম। তখন আমি হযরত আব্বাস বিন আব্দিল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনলাম,

ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি আপনার প্রশংসা করতে চাই।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
বলুন। আল্লাহ যেন আপনার মুখকে দন্তহীন না করেন।
অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে সে তাওফিক দান করুন।
তখন আব্বাস বিন আব্দিল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতে শুরু করলেন,
ওয়া আনতা লাম্মা উলিদতা আশরাক্বাতিল আরদ্বু
ওয়া দ্বা--আত বিনূ---রিকাল উফুক্বু’।

গদ্যানুবাদঃ
(ইয়া রাসুলাল্লাহ)
আপনি যখন দুনিয়াতে তাশরিফ এনেছিলেন (জন্ম লাভ করলেন),
পৃথিবী তখন আলোকিত হয়ে উঠেছিল।
আর আপনার নূরের ঝলকে উদভাসিত হয়ে গিয়েছিল দিগন্ত।
আর আমরা সেই নুর আর সেই আলোয় সঠিক পথেই পথ চলছি।

উল্লেখ্য,
হাফিযুল হাদীস ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এই হাদীসটি হাসান।

সুতরাং, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচাজান হযরত আব্বাস বিন আব্দিল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু নবীজীর শানে না’ত পরিবেশনের মাধ্যমে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করলেন। সুবহান আল্লাহ।

Reference :
♦ আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, খন্ডঃ৩,
♦ইমাম ইবনু কাসির (রাহ);
♦আল-আমালী,
♦ইবনু হাজার আসকাকালানী


♦হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর
ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ
সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-

ﻋﻦ ﻋﻔﺎﻥ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻴﻦ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﺎﻡ
ﺍﻟﻔﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﺑﻴﻊ ﺍﻻﻭﻝ

অর্থ : হযরত আফফান
রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত
সাঈদ
ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন
যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার বিলাদত শরীফ
হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল
আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল। "

Reference :-

√ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা
√ বুলুগুল আমানী শরহিল ফতহুর রব্বানী
√ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ।


সাহাবী হাসান বিন সাবিত (রা) এর মীলাদুন্নবী (সা) বর্ননা:-

সাহাবী কবি হযরত হাসসান বিন সাবেত (রাঃ) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতিতে তাঁর গৌরবগাঁথা পেশ করতেন এবং অন্যান্য সাহাবীগন সমবেত হয়ে শ্রবণ করতেন। হজরত হাসসানবিন সাবেত (রাঃ) মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বর্ণনা প্রসঙ্গে একখানি কবিতাগ্রন্থ লিখেছিলেন এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কে শুনিয়েছিলেন পরবর্তীতে যার নামকরণ করা হয়েছিল “""""দিওয়ানে হাসসান বিন সাবেত”""""। তিনি লিখেনঃ
হে প্রিয় রাসুল। আপনি সর্ব প্রকার ত্রুতিমুক্ত হয়েই মাসুম নবী হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন। মনে হয় যেন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ীই আপনার বর্তমান সুরত পয়দা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ্‌ আজানের মধ্যে আপন নামের সাথে নবীর নাম সংজজন করেছেন যখন মুয়াজ্জিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজানে উচ্চারণ করেন আশহাদু আল লাইলাহা ইল্লাল্লাহ; আশহাদুয়ান্না মুহাম্মাদা রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ।“আর আল্লাহ্‌ আপন নামের অংশ দিয়ে তাঁর প্রিয় হাবীবের নাম রেখেছেন। আরশের অধিপতি হলেন “মাহমুদ’ এবং ইনে হলেন ‘মুহাম্মদ’।









♦হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে--
ﻋﻦ ﺍﻟﻌﺮﺑﺎﺽ ﺑﻦ ﺳﺎﺭﻳﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻭ ﺳﻨﺔ ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ ﺍﻟﻤﻬﺪﻳﻦ ﺗﻤﺴﻜﻮﺍ ﺑﻬﺎ ﻭ ﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ
অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহুহতে বর্নিত, হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !""
দলীল--
√ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২
√ তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬
√ আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭
√ মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬

♦হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর
ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ
সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-
ﻋﻦ ﻋﻔﺎﻥ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻴﻦ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﺎﻡ
ﺍﻟﻔﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﺑﻴﻊ ﺍﻻﻭﻝ
অর্থ : হযরত আফফান
রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত
সাঈদ
ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন
যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার বিলাদত শরীফ
হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল
আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল। "
দলীল-
√ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা
√ বুলুগুল আমানী শরহিল ফতহুর রব্বানী
√ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ।

♦মুস্তাহিদ এক
বাক্যে ইজমা করেছেন-
ﺍﻥ ﺍﻟﺘﺮﺑﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺍﺗﺼﻠﺖ ﺍﻟﻲ ﺍﻋﻈﻢ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭ ﺳﻠﻢ ﺍﻓﻀﻞ ﻣﻦ ﺍﻻﺭﺽ ﻭﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺣﺘﻲ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীর
মুবারক উনার সাথে যে মাটি স্পর্শ
করেছে তা আসমান-জমিন, আরশ-কুরসির
চাইতেও শ্রেষ্ঠ।"
দলীল-
√ ফতোয়ায়ে শামী ৩য় খন্ড- কিতাবুল
যিয়ারত।



♦আরো উল্লেখ আছে-
ﻓﺎﻧﻪ ﺍﻓﻀﻞ ﻣﻄﻠﻖ ﺣﺘﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﻌﺒﺔ ﻭﺍﻋﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবকিছুর
চাইতে শ্রেষ্ঠ, এমনকি কা'বা শরীফ,
আরশে আযীম ও কুরসী হতেও!"
দলীল-
√ দূররুল মুখতার ১ম খন্ড ১৮৪পৃষ্ঠা ।

মিলাদুন্নবী صلى الله عليه و آله وسلم কুরআন ও হাদিসের আলোকে- মিলাদুন্নবী صلى الله عليه و آله وسلم কুরআন ও হাদিসের আলোকে- Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম on 8:19 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.