♦রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম হুজুর পাক ﷺ এঁর জন্য মৃত খেজুর গাছের কান্না (উসতুওয়ানা হান্নানাহ!)
🌾১ম দলিল🌾
আবূ নু’আইম (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী ﷺ একটি বৃক্ষের উপর কিংবা একটি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের উপর (হেলান দিয়ে) শুক্রবারে খুৎবা প্রদানের জন্য দাঁড়াতেন। এমতাবস্থায় একজন আনসারী মহিলা অথবা একজন পুরুষ বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আঁপনার জন্য একটি মিম্বার তৈরি করে দেব কি? নাবী ﷺ বললেন, তোমাদের ইচ্ছা হলে দিতে পার। অতঃপর তাঁরা একটি কাঠের মিম্বার তৈরি করে দিলেন। যখন শুক্রবার এল নাবী ﷺ মিম্বারে আসন গ্রহণ করলেন, তখন কাণ্ডটি শিশুর ন্যায় চীৎকার করে কাঁদতে লাগল। নাবী ﷺ মিম্বার হতে নেমে এসে উহাকে জড়িয়ে ধরলেন। রাবী বলেন, কিন্তু কান্ডটি এজন্য কাঁদছিল যেহেতু সে খুতবাকালে অনেক যিকর শুনতে পেত।
[সহীহ বুখারীঃ ৩৩৩১, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৪১৫, ফাতহুল বুখারী নং হাদিস ৩৯৯]
👍পরবর্তীতে সেই খেজুর কাণ্ডটিকে মানুষের ন্যায় হুজুর ﷺ এঁর মিম্বারের পিছনে কবর দেয়া হয়।কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে রাসূল ﷺ উক্ত খেজুর বৃক্ষটিকে জান্নাতে তাঁর সাথি হবার সুসংবাদ প্রদান করলে উক্ত খেজুর কাণ্ডটি কান্না থামায়। সুবহানআল্লাহ!
🌴২য় দলিল🌴
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে:
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ فَلَمَّا اتَّخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى أَتَاهُ فَالْتَزَمَهُ فَسَكَنَ ”
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর গাছের গুড়ির সাথে ভর দিয়ে জুমু’আর বক্তৃতা করতেন। যখন মিম্বার তৈরী করা হল খেজুরের গুড়িটা কাঁদতে লাগল। তিঁনি গাছটির নিকট গেলেন এবং তা স্পর্শ করলেন।ফলে এটা চুপ করল।
[জামে তিরমিযী:৫০৫, সুনানে দারেমী:৩১, সুনানুল কুবরা:৫৫৬৭, বুখারী:৩৩৯০]
🌹বিশেষ দ্রষ্টব্য: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর কষ্ট হত। তখন তাঁর জন্য খেজুর গাছের একটি কাষ্ঠ খণ্ড নিয়ে আসা হল এবং তিঁনি যেখানে দাঁড়াতেন তাঁর পাশে গর্ত করে খাড়া ভাবে পূঁতে দেওয়া হল। অতঃপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে খুতবা দেওয়ার সময় সেটিতে ভর করে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতেন।
💜৩য় দলিল💜
ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার বানানোর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। তারপর যখন তিঁনি মিম্বার বানালেন এবং সেটির দিকে ফিরে গেলেন,তখন কাষ্ঠখণ্ডটি কান্নাজুড়ে দিল। ফলে তিঁনি এটিকে আলিঙ্গন করলেন, অতঃপর এটি শান্ত হল। আর তিঁনি বললেন: ‘আঁমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্য়ন্ত (এভাবে) কাঁদতে থাকত।’
[সুনানে দারেমী:৩৯, মুসনাদে আহমাদ: ১/২৪৯, ২৬৩, ২৬৭; ইবনু আবী শাইবা: ১১/৪৮৪]
💘৪র্থ দলিল💘
আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু’আর দিনে মসজিদের একটি কাষ্ঠখণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে লোকদের মাঝে খুতবা দিতেন। তারপর এক রোমান ব্যক্তি এসে বলল, আঁমি আঁপনার জন্য একটি কিছু বানিয়ে দিব যার উপরে বসলে মনে হবে যেন আঁপনি দাঁড়িয়ে আছেন? তারপর সে তাঁর জন্যে একটি মিম্বার তৈরী করল, যার (নিচের দিকে) দু’টি ধাপ ছিল, আর (উপরের দিকে) তৃতীয় ধাপে তিঁনি বসতেন। অতঃপর যখন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই মিম্বারে বসলেন,তখন কাষ্ঠখণ্ডটি ষাঁড়ের মত আর্তনাদ করতে লাগলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর শোকে পুরো মসজিদ প্রকম্পিত হয়ে উঠল।
* তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বার হতে নেমে সেটির দিকে আসলেন এবং আর্তনাদরত কাষ্ঠখণ্ডটিকে আলিঙ্গন করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিকে আলিঙ্গন করা মাত্র তা শান্ত হয়ে গেল। তারপর তিঁনি বলেন: ‘সেই মহান সত্ত্বার কসম, যার হাতে রয়েছে মুহাম্মাদের প্রাণ,আঁমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর শোকে এভাবে কাঁদতে থাকত।’ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটিকে দাফন করার নিদের্শ দিলেন, ফলে একে দাফন করে দেয়া হল।
[সুনানে দারেমী,৪১,তিরমিযী,(শুধু প্রথমাংশ): ৩৬২৭, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ:১৭৭৬-১৭৭৭]
“কাণ্ডটি এজন্য কাঁদছিল যেহেতু সে খুতবাকালে যিকর শুনতে পেত।”
[দ্রষ্টব্য: বুখারী:৩৩৯১,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ: ১৭৭৭]
👏লক্ষ্য করুন: একটি খেজুর গাছ যদি রাসূলকে চিনল,ভালোবাসলো, মোহাব্বত করলো আর নাফরমান-মালাউন,মুনাফিক, ইয়াজিদের দোসররা অহরহ রাসূলের শানে বেয়াদবি করতেছে। আমার কথা হল আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং যাঁকে এত সম্মানীত করেছেন,সেই রাসূলকে কেউ না মানলে কি সেই রাসূলের শান কমে যাবে?? না কখনো কমবে না বরং বাড়তে থাকবে।
🌾১ম দলিল🌾
আবূ নু’আইম (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী ﷺ একটি বৃক্ষের উপর কিংবা একটি খেজুর বৃক্ষের কাণ্ডের উপর (হেলান দিয়ে) শুক্রবারে খুৎবা প্রদানের জন্য দাঁড়াতেন। এমতাবস্থায় একজন আনসারী মহিলা অথবা একজন পুরুষ বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আঁপনার জন্য একটি মিম্বার তৈরি করে দেব কি? নাবী ﷺ বললেন, তোমাদের ইচ্ছা হলে দিতে পার। অতঃপর তাঁরা একটি কাঠের মিম্বার তৈরি করে দিলেন। যখন শুক্রবার এল নাবী ﷺ মিম্বারে আসন গ্রহণ করলেন, তখন কাণ্ডটি শিশুর ন্যায় চীৎকার করে কাঁদতে লাগল। নাবী ﷺ মিম্বার হতে নেমে এসে উহাকে জড়িয়ে ধরলেন। রাবী বলেন, কিন্তু কান্ডটি এজন্য কাঁদছিল যেহেতু সে খুতবাকালে অনেক যিকর শুনতে পেত।
[সহীহ বুখারীঃ ৩৩৩১, ইবনে মাজাহ হাদিস নং ১৪১৫, ফাতহুল বুখারী নং হাদিস ৩৯৯]
👍পরবর্তীতে সেই খেজুর কাণ্ডটিকে মানুষের ন্যায় হুজুর ﷺ এঁর মিম্বারের পিছনে কবর দেয়া হয়।কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে রাসূল ﷺ উক্ত খেজুর বৃক্ষটিকে জান্নাতে তাঁর সাথি হবার সুসংবাদ প্রদান করলে উক্ত খেজুর কাণ্ডটি কান্না থামায়। সুবহানআল্লাহ!
🌴২য় দলিল🌴
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে:
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ فَلَمَّا اتَّخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ حَنَّ الْجِذْعُ حَتَّى أَتَاهُ فَالْتَزَمَهُ فَسَكَنَ ”
ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর গাছের গুড়ির সাথে ভর দিয়ে জুমু’আর বক্তৃতা করতেন। যখন মিম্বার তৈরী করা হল খেজুরের গুড়িটা কাঁদতে লাগল। তিঁনি গাছটির নিকট গেলেন এবং তা স্পর্শ করলেন।ফলে এটা চুপ করল।
[জামে তিরমিযী:৫০৫, সুনানে দারেমী:৩১, সুনানুল কুবরা:৫৫৬৭, বুখারী:৩৩৯০]
🌹বিশেষ দ্রষ্টব্য: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খুতবা দিতেন তখন তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর কষ্ট হত। তখন তাঁর জন্য খেজুর গাছের একটি কাষ্ঠ খণ্ড নিয়ে আসা হল এবং তিঁনি যেখানে দাঁড়াতেন তাঁর পাশে গর্ত করে খাড়া ভাবে পূঁতে দেওয়া হল। অতঃপর তিনি দীর্ঘক্ষণ ধরে খুতবা দেওয়ার সময় সেটিতে ভর করে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতেন।
💜৩য় দলিল💜
ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার বানানোর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠখণ্ডের নিকট (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। তারপর যখন তিঁনি মিম্বার বানালেন এবং সেটির দিকে ফিরে গেলেন,তখন কাষ্ঠখণ্ডটি কান্নাজুড়ে দিল। ফলে তিঁনি এটিকে আলিঙ্গন করলেন, অতঃপর এটি শান্ত হল। আর তিঁনি বললেন: ‘আঁমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্য়ন্ত (এভাবে) কাঁদতে থাকত।’
[সুনানে দারেমী:৩৯, মুসনাদে আহমাদ: ১/২৪৯, ২৬৩, ২৬৭; ইবনু আবী শাইবা: ১১/৪৮৪]
💘৪র্থ দলিল💘
আনাস ইবনে মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমু’আর দিনে মসজিদের একটি কাষ্ঠখণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে লোকদের মাঝে খুতবা দিতেন। তারপর এক রোমান ব্যক্তি এসে বলল, আঁমি আঁপনার জন্য একটি কিছু বানিয়ে দিব যার উপরে বসলে মনে হবে যেন আঁপনি দাঁড়িয়ে আছেন? তারপর সে তাঁর জন্যে একটি মিম্বার তৈরী করল, যার (নিচের দিকে) দু’টি ধাপ ছিল, আর (উপরের দিকে) তৃতীয় ধাপে তিঁনি বসতেন। অতঃপর যখন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই মিম্বারে বসলেন,তখন কাষ্ঠখণ্ডটি ষাঁড়ের মত আর্তনাদ করতে লাগলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর শোকে পুরো মসজিদ প্রকম্পিত হয়ে উঠল।
* তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বার হতে নেমে সেটির দিকে আসলেন এবং আর্তনাদরত কাষ্ঠখণ্ডটিকে আলিঙ্গন করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটিকে আলিঙ্গন করা মাত্র তা শান্ত হয়ে গেল। তারপর তিঁনি বলেন: ‘সেই মহান সত্ত্বার কসম, যার হাতে রয়েছে মুহাম্মাদের প্রাণ,আঁমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে অবশ্যই তা কিয়ামত পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর শোকে এভাবে কাঁদতে থাকত।’ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটিকে দাফন করার নিদের্শ দিলেন, ফলে একে দাফন করে দেয়া হল।
[সুনানে দারেমী,৪১,তিরমিযী,(শুধু প্রথমাংশ): ৩৬২৭, সহীহ ইবনু খুযাইমাহ:১৭৭৬-১৭৭৭]
“কাণ্ডটি এজন্য কাঁদছিল যেহেতু সে খুতবাকালে যিকর শুনতে পেত।”
[দ্রষ্টব্য: বুখারী:৩৩৯১,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ: ১৭৭৭]
👏লক্ষ্য করুন: একটি খেজুর গাছ যদি রাসূলকে চিনল,ভালোবাসলো, মোহাব্বত করলো আর নাফরমান-মালাউন,মুনাফিক, ইয়াজিদের দোসররা অহরহ রাসূলের শানে বেয়াদবি করতেছে। আমার কথা হল আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং যাঁকে এত সম্মানীত করেছেন,সেই রাসূলকে কেউ না মানলে কি সেই রাসূলের শান কমে যাবে?? না কখনো কমবে না বরং বাড়তে থাকবে।
খেজুর গাছের কান্না (উসতুওয়ানা হান্নানাহ!)
Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম
on
9:38 PM
Rating:
No comments: