প্রশ্নঃ কেন শুধু ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়? ওফাতুন্নবী কেন পালন করা হয় না?
🖋মাসুম বিল্লাহ সানি
প্রথমতঃ ৩ দিন অথবা চার মাস দশ দিনের বেশি শোক পালন করা নিষিদ্ধ
হাদিস ১ : হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-امرنا ان لا نحد علي ميت فوق ثلاث الا لزوجঅর্থ : আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমরা যেনো কারো ইন্তেকালে তিন দিন পর আর শোক প্রকাশ না করি। তবে স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে !'”[বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুয়াত্তা মালিক শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারেমী শরীফ, মিশকাত শরীফ]
দ্বিতীয়তঃ এর জবাব দিয়েছেন দুই লক্ষ হাদিসের হাফেজ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (رحمة الله)
جوابه ان ولادته صلى الله عليه وسلم اعظم النعم علينا- ووفاته اعظم المصائب لنا- والشريعة حثت على اظهار شكر النعم والصبر السكون والكتم عند المصائب- وقد امر الشرع بالعقيقة عند الولادة وهى اظهار شكر وفرح بالمولود ولم يأمر عند الموت بذبح ولابغيره بل نهى عن النياحة واظهار الجزع فدلت قواعد الشريعة على انه يحسن فى هذا الشهر اظهار الفرح بولادته صلى الله عليه وسلم دون اظهار الحزن فيه بوفاته- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: জবাব, রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেলাদত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত এবং তাঁর ওফাত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মুসিবত। আর শরিয়ত উৎসাহিত করেছে নিয়ামতের শুকরিয়া প্রকাশের জন্য এবং বিপদ মুসিবতের সময় ধৈর্যধারণের মাধ্যমে নীরব থাকার জন্য। অতএব নবজাতকের জন্ম উপলে আক্বিকা করার শরয়ি হুকুম প্রকৃতপক্ষে শুকরিয়া ও আনন্দ প্রকাশের নামান্তর। অথচ কারো মৃত্যুতে পশু জবাই করে আনন্দ-উল্লাসের হুকুম শরিয়ত দেয়নি (এখানে ইসলে সওয়াবের উদ্দেশ্যে অন্যকে খাওয়ানোর জন্য কুরবানী নিষেধ বলা হয় নি)। বরং মর্সিয়া ও আহাজারি করতে নিষেধ করেছে। অতএব শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ইহাই প্রমাণিত হলো যে, উক্ত রবিউল আউয়াল মাসে রাসূলে পাক (ﷺ)-এর ওফাত উপলে চিন্তা পেরেশানী না করে তাঁর বেলাদতশরীফ উপলে আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা উত্তম কাজ। [ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (رحمة الله) আল হাবী লিল ফাতাওয়া]
তৃতীয়তঃ রাসূল (ﷺ) না শুধু সকল নবীগণ ও শহিদগণ জীবিত। সুতরাং ওফাতুন্নবী পালন করে কেন শোক প্রকাশ করব?
হাদিস ২ : হযরত আউস ইবনে আউস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে,
عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اﷲِ صلي الله عليه وآله وسلم. إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامِکُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِيْهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيْهِ قُبِضَ وَفِيْهِ النَّفْخَةُ، وَفِيْهِ الصَّعْقَةُ فَأَکْثِرُوْا عَلَيَّ مِنَالصَّلَاةِ فِيْهِ، فَإِنَّ صَلَاتَکُمْ مَعْرُوْضَةٌ عَلَيَّ، قَالَ : قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اﷲِ! کَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْکَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَقُوْلُوْنَ : بَلِيْتَ قَالَ صلي الله عليه وآله وسلم : إِنَّ اﷲَ حَرَّمَ عَلَي الْأَرْضِ أَجْسَادَالْأَنْبِيَاءِ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমুয়ার দিন সর্বাধিক সেরা। কারণ ঐ দিন আদম (عليه السلام) সৃষ্টি করা হয়েছিল ঐ দিনই ওনার ওফাত হয়েছিল ।ঐ দিন সিঙ্গায় ফুত্কার দেয়া হবে আর ঐ দিনই (কিয়ামতের) চিত্কার শুরু হবে! তাই ঐ দিন বেশি বেশি করে আমার প্রতি দুরুদ পাঠাও। তোমাদের দুরুদ আমার নিকট (নিশ্চই) পৌঁছানো হবে। তাঁরা (সাহাবীগণ) জিজ্ঞাসা করলেন - আমাদের দরুদ আপনার ওফাতের পর আপনার উপরে কিরুপে পেশ করা হবে? আপনার বরকতময় মোবারক দেহ কি মাটিতে মিশে যাবে না?রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীগণের দেহকে ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. আবূ দাউদ: আস্ সুনান, কিতাবুস সালাত, ১/২৭৫, হা-১০৪৭ এবং কিতাবুস সালাত, ২/৮৮, হা-১৫৩১।২. নাসাঈ: আস্ সুনান, কিতাবুল সালাহ : অধ্যায়: জুমু'আ, ৩/৯১, হা-১৩৭৪। এবং আস্ সুনানুল কুবরা, ১/৫১৯, হা-১৬৬৬।৩.ইবনু মাজাহ্: আস্ সুনান, কিতাবু ইকামাতিস সালাত, ১/৩৪৫, হা-১০৮৫।৪.দারেমী: আস্ সুনান, বই : জুমা, অধ্যায় : ফি ফদ্বল ইয়াওমাল জুমা ১/৪৪৫, হা-১৫৭২।৫.আহমদ ইবনে হাম্বল: আল মুসনাদ, ৪/৮, হা-১৬২০৭। ২৬/৮৪, হা- ১৬১৬২৬.ইবনে আবি শায়বাহ্: আল মুসান্নাফ, আস-সালাহ ২/২৫৩, হা-৭৬৯৭, ৬/৪০, হা- ৮৭৮৯৭.ইবনে খুজায়মা: আস্ সহীহ, ৩/১১৮, হা-১৭৩৩-১৭৩৪।৮.ইবনে হিব্বান: আস্ সহীহ, বই : আর-রাকাইক, অধ্যায় : আদিয়্যাহ : ৩/১৯০, হা-৯১০।৯.হাকেম: আল মুসতাদরাক, ১/৪১৩, হা-১০২৯।১০.বাযযার: আল মুসনাদ, ৮/৪১১, হা-৩৪৮৫১১.তাবরানী: আল মু'জামুল আওসাত, ৫/৯৭, হা-৪৭৮০।১২.তাবরানী: মু'জামুল কবীর, ১/২৬১, হা-৫৮৯।১৩.বায়হাকী: আস্ সুনানুস সগীর, ১/৩৭১, হা-৬৩৪।১৪.বায়হাকী: আস্ সুনানুল কুবরা, ৩/২৪৮, হা-৫৭৮৯। Or, অধ্যায় : আল- জুমুয়া : ৩/৩৫৩, হা-৫৯৯৩১৫.বায়হাকী: শু'আবুল ঈমান, ৩/১০৯, হা-৩০২৯। Or অধ্যায় : ফাজাইলুস সালাতুন্নবী (ﷺ) ৪/৪৩২, হা-২৭৬৮১৬. যাহদ্বামী: ফাদ্বলুস্ সালাতি আলান্ নবী, হা-২২।১৭.ওয়াদীয়াশী: তুহফাতুল মুহতাজ, ১/৫২৪, হা-৬৬১।১৮.আসকালানী: ফাতহুল বারী, ১১/৩৭০।১৯.আযলূনী: কাশফুল খিফা, ১/১৯০, হা-৫০১।২০.ইবনে কাসীর, তাফসীরিল কুরআনিল আযীম, ৩/৫১৫ সুরা আল-আহজাব ৫৬,২১.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৪২৯ পৃ. হা/১৩৮১, ২২.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ২৩.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।
হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা
☞ এ হাদিসকে ইমাম আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্, দারেমী, অাহমদ, ইবনু খুজায়মা এবং ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন।▶ ইমাম হাকেম বলেন, এ হাদিস ইমাম বুখারীর শর্তাবলীর ভিত্তিতে সহীহ্ এবং▶ ইমাম ওয়াদিয়াশীও বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু হিব্বান সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন এবং▶ ইমাম আসক্বালানী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।▶ ইমাম আজলুনী বলেন, ইহাকে ইমাম বায়হাকী উত্তম, মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।▶ইবনু কাছির বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা, ইবনু হিব্বান, দারু কুতনী এবং ইমাম নববী 'আল-আযকার' -এ সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।
হাদিস ৩ :হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلىالله عليه و سلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليهو سلم، رقم الحديث-1637রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম - মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,"হ্যাঁ! আল্লাহ্ পাক নবীগণের শরীর মোবারাককে ভক্ষণ করা জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। তাই নবীগণ (কবরে) জীবিত আছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা রিজিকও পেয়ে থাকেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৬,২. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৭৩. ইবনে মাজাহ্ঃ ইকামাতুস সালাহ ওয়াস সুন্নাহ ফিহা : অধ্যায় ৭৯, ১/৩৪৫, হা- ১০৮৫৪. মুনজারীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড- ২/২২৮পৃ, হাদিস: ২৫৮২।৫. ইবনে কাসীরঃ তাফসীরু কুরআনিল আযীম, খন্ড- ৩/৫১৫পৃ, খন্ড- ৪/৪৯৩পৃ।৬. মুনাবীঃ ফয়যুল কদীর, খন্ড- ২/৮২পৃ।৭. আযুলুনীঃ কাশফুল খিফা, খন্ড- ১/১৯০পৃ, হাদিস: ৫০১৮. সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,৯. আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০,১০. সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২,১১. মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,১২. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯১৩. আবু দাউদ : আস সুনান, কিতাবুস সালাত : ১:২৭৫, হাদিস ১০৪৭১৪. নাসাঈ : আস সুনান, অধ্যায় : জুমুয়া ৩:৯২১৫. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ (৪:৮)১৬. ইমাম ইবনে হিব্বান : আস সহীহ : (৩:১৯১, হাদিস ৯১০)১৭. ইবনে খুজায়মাহ : আস সহীহ : (৩:১১৮, হাদিস ১৭৩৩)১৮. ইমাম হাকিম : আল মুস্তাদরাক (১:২৭৮)১৯. ইমাম তাবারানী : আল মুজমাউল কবীর (১:২১৭, হাদিস ৫৮৯)২০. বায়হাকী : আস সুনান আল কুবরা : (৩:২৪৯).২১.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।২২. কিনানী, মিছবাহুয যুজাজাহ্। ২: ৫৮, ৫৯। হাদিস নম্বর:৬০২। ২৩. খতীবে তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ।১: ৩৯২। হাদিস নম্বর: ১৩৬৬। ২৪. মুনাবী, ফয়যুল কদীর। ২: ৮৭। ২৫. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ৩৫, ৩৬। ২৬. উনদুলুসী, তুহফাতুল মুহতাজ। ১: ৫২৬। হাদিস নম্বর: ৬৬৩। ২৭. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৬৩। হাদিস নম্বর: ১০৮। ২৮. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন । ৩: ৫১৪। ২৯. ইবনু কছীর, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। ৪: ২৫৮। ৩০. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৬৫। ৩১. মাযী, তাহযীবুল কামাল।১০: ২৩। হাদিস নম্বর: ২০৯০। ৩২. ফিরােজাবাদী, আস সিলাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার। ৭৫। ৩৩. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৫৮। ৩৪. শাওকানী, নাইলুল আওতার। ৩: ৩০৪, ৩০৫।
হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা
▶ এ হাদিসকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ সহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।▶ ইমাম মুনযেরী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ উত্তম-মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।▶ ইমাম মুনাবী বর্ণনা করেন যে, ইমাম দমীরী বলেন, ইহার রাভীগণ (বর্ণনাকারীগণ) নির্ভরযোগ্য।▶ ইমাম আজলুনীও ইহাকে হাসান বলেছেন।▶ ইমাম সাখাবী (রহঃ)'র অভিমত, হাদিসটির রিজাল (বিভিন্ন স্তরের রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য।
হাদিস ৪ : হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ما من أحد يسلم على الا رد الله علي روحى حتى ارد عليه السلام -رواه ابو داؤد والحمد والطبراني والبيهقي . وقال العسقلاني : رواه أبو داود ورواته ثقات، وقال الهيثمى : وفيه عبد الله بن يزيد الاسكندرانى ولم اعرفه ومهدى بن جعفر ثقه وبقية رجاله ثقات.রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যখন তােমাদের কেউ আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, এমনকি আমি তার সালামের জবাব দেই।"
তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, কিতাবু মানাসিক, ২/২১৮ পৃ. হা/২০৪১, সনদঃ সহিহ২.আন-নাসাই তাঁর কিতাব আল-দু‘ফা ’ওয়া’ ই-মাতরুকিন, পৃষ্ঠা -১৬৮।৩.আল দারিমির আল-তারিখ, পৃষ্ঠা ২৬০।৪.ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১৬/৪৭৭ পৃ. হা/১০৮১৫, ৫.ইবনে ইসহাক আল রাহূইয়াহ তার মুসনাদে, ১/৪৫৩ (৫২৬ & ২০৪১)।৬.ইবনে ‘আসাকির’ মুক্ততাসার তারিক দিমশাক, ২/৪০।৭.আবু নু'আয়াম আল-ইস্পাহানীঃ আখবার আল-আসবাহান, ২/৩৫৩।৮.তাবারানীঃ মুজাম আল-আসাতঃ ৩/২৬২ (৩০৯২, ৯৩২৯)/ ৪:৮৪, হাদীস নং ৩১১৬।৯.আল-বায়হাকী আল-সুনান আল-কুবরা, ১/৫১৯: হাদীস ১৬৬৬, ৩/২৪৯: হাদীস ৫৭৮৯১০.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ২: ২১৫। হাদিস নম্বর: ১৫৭১। ১১.মুনযিরী: আততারগিব ওয়াত তাহহীব মিনাল হাদীসিশ শরীফ, ২:৩৬২, হাদীস নং ২৫৭৩। ১২.ইমাম সুয়ূতীঃ আল-হাওই লিল ফাতওয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা নং ২৭১-২৭২১৩.ইমাম আন নওয়াবী (رحمة الله) এই হাদীস সম্পর্কে বলেছেন: رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد صحيح অনুবাদ: এটি আবু দাউদ (রহঃ) "সহীহ সনদ" দ্বারা বর্ণনা করেছেন।১৪.নাওয়াইল আল আওতার ৫/১৬৪।১৫.রিয়াদ উস সালিহীন ১/২৫৫, হাদীস ১৪০২।১৬.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন ও খাসায়েল মুস্তফা (ﷺ)১৭.আলবানীর সংস্করণ জিয়ারাতুল কুবুরের অধীনে (# 2041) এটিকে "হাসান" বলেছে।১৮.আলবানীঃ সিলসিলাহ আহাদিস আল-সহিহাহ [২২৬৬]১৯.ইবনে হাজার আল-আসকালানী, তাকরিব-আল তাহযিব, ১/২০০।২০.আসকালানী, ফতহুল বারী, ৬: ৪৮৮।২১.আসকালানী, তালখীসুল জহীর। ২: ২৬৭। ২২.ইবনে আল-নাজ্জার, আখবার আল-মদীনা, পৃ .১৪৪।২৩.তফসীরে ইবনে কাসীর, 6: 464।২৪.হাফিজ আল-দারাকুতনী ইবন হিব্বান তাঁর আল-সিকাহ, ১৮৮ তে উদ্ধৃত করেছেন।২৫.হায়সমী: মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, 1/162 এবং ১০:৩৪৯।২৬.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯১ পৃ. হা ৯২৫। ২৭.আল্লামা মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১/৪৯১ পৃ. হা/২১৫৬, ২৮.মুরতদা আল-জাবেদী, ইতাফ আল-সাদাত আল- মুত্তাকিন, 4/419 এবং 10/365।২৯.ইবনে রাহবীয়া: আল মুসনাদ, ১/৪৫৩, হাদিস: ৫২৬।৩০.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।৩১.আল-মিয্যিঃ তাহযিব আল-কামাল, 7/366।৩২.মুনাবী, ফয়যুল কদীর ৫: ৪৬৭। ৩৩.উনদুলুসী, তােহফাতুল মােহতাজ। ২: ১৯০। ৩৪.আবু তাইয়িব, আওনুল মাবুদ। ৬: ১৯, ২০। ৩৫. যারকানী, শরহুল মুয়াত্তা। ৪: ৩৫৭। ৩৬. শাওকানী, নাইলুল আওতার ৫: ১৮০। ৩৭. ইবনু জাওযী, ছাফওয়াতুছ ছাফওয়া। ১: ২৩৩। ৩৮. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৬। ৩৯. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১: ৩০৬, ৩০৭, ৩০৮। ৪০. ইবনু কুদামা । আল মুগনী । ৩: ২৯৭, ২৯৮। ৪১. ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খইরিল বাশার । ১০৩, ১০৪। ৪২. সুয়ূতী, আল খাসায়িসুল কুবরা । ২: ২৮০। ৪৩. সুয়ূতী, আর রাসায়িলুলত্ তিস্'। ২৩৫। ৪৪. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী (ﷺ)।
হাদিসটির মান ও সনদ পর্যালোচনা :
▶এ হাদিসকে ইমাম আবূ দাউদ, আহমদ, তাবরানী এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।▶ইমাম আসক্বালানীও বলেন,ইহাকে ইমাম আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন এবং ইহার বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।▶ইমাম হায়ছমীও বলেন, ইহার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াজিদ আল- ইস্কান্দারানী বর্ণনাকারীকে আমি চিনি না, যখন মাহদী ইবনু জাফর এবং অপরাপর সমস্ত বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।
চতুর্থতঃ রাসূল (ﷺ) হায়াত ও ওফাত উভয়ই আমাদের জন্য নেয়ামত
হাদিস ৫ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺔً ﺳَﻴَّﺎﺣِﻴﻦَ، ﻳُﺒَﻠِّﻐُﻮﻥَ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡَ ." ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺣَﻴَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﺤْﺪِﺛُﻮﻥَ ﻭَﻳُﺤَﺪَﺙُ ﻟَﻜَﻢْ، ﻭَﻭَﻓَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﻌْﺮَﺽُ ﻋَﻠَﻲَّ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ، ﻓَﻤَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﺣَﻤَﺪَﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻭَﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺷَﺮٍّ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔَﺮْﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻜَﻢ -
‘‘আমার হায়াত তোমাদের জন্য উত্তম। কেননা আমি তোমাদের সাথে কথা বলি তোমরাও আমার সাথে কথা বলতে পারছ। এমনকি আমার ওফাতও তোমাদের জন্য উত্তম নেয়ামত। কেননা তোমাদের আমল আমার নিকট পেশ করা হয় এবং আমি তা দেখি। যদি তোমাদের কোন ভাল আমল দেখি তাহলে আমি তোমাদের ভাল আমল দেখে আল্লাহর নিকট প্রশংসা করি, আর তোমাদের মন্দ কাজ দেখলে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য গুনাহ মাফের জন্য (তোমাদের পক্ষ হয়ে) ক্ষমা প্রার্থনা করি।’’
মুসনাদে বাযযারের সনদঃ
ইমাম বাযযার ➡ ইউসুফ বিন মূসা ➡ আবদুল মজিদ বিন আবদুল আজিজ বিন আবি রওয়াদ ➡ ইমাম সুফিয়ান সাওরি ➡ আবদুল্লাহ ইবনে সা’ইব➡ যাধান ➡ আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ (رضي الله عنه)
তথ্যসূত্রঃ
১. ইমাম হায়সামী (رحمة الله) মাজমাউয জাওয়াইদ, আলামাত আন নুবুউয়াঃ অধ্যায়: হায়াতিহি ওয়া ওয়াফতিহি, 2/884, হাদিস নম্বরঃ 953 ও 9/24, হাদিস: 91,পুস্তকে জানান যে, হাদীসটি আল-বাযযার তাঁর ’মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন এবং এর সকল ’রাবী’ (বর্ণনাকারী) সহীহ (মানে হাদীসটি সহীহ)।২. ইবনুল ইরাকী, তারহ আল-তাথরিব ফী শারহ,(৩:২৯৭) তাঁর মতে হাদিসটি বিশুদ্ধতা। ৩. ইবনে সা’আদঃ আত-তাবাক্কাত-উল-কুবরা (২:১৯৪), (৫/৫০০)৪. ইমাম কাজী আয়ায (رحمة الله) ‘আশ-শিফা’ গ্রন্থে (১:১৯) ৫. ইমাম সুয়ুতি, আল হাবি লিল ফাতাওয়া, 2 পৃষ্ঠা: 3৬. ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله), ‘আল-খাসাইস আল-কুবরা’ (২:২৮১) ৭. ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله),‘মানাহিল-উস-শিফা ফী তাখরিজ-এ-আহাদীস আশ-শেফা’ 31 (# 8) তিনি বিবৃত করেন যে আবূ উসামাহ নিজ ‘মুসনাদ’ পুস্তকে বকর বিন আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه)-এর সূত্রে এবং আল-বাযযার তাঁর ‘মুসনাদ’ বইয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)-এর সূত্রে সহীহ সনদে এই হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।৮. খাফাযী স্বরচিত ‘নাসিমুর রিয়াদ’ (১:১০২) ও ৯. মোল্লা আলী কারী তাঁর ‘শরহে শিফা’(১:৩৬) এ হাদিসটি সমর্থন করেন।১০. মুহাদ্দীস ইবনুল জাওযী এটি বকর বিন আব্দিল্লাহ (رضي الله عنه) ও হযরত আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه)-এর সূত্রে "আল ওয়ফা দ্বি আহওয়ালিল মুস্তাফা (ﷺ), পৃষ্ঠা: 862, হাদিস নম্বরঃ 1564১১. ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী (رحمة الله) নিজ ‘শেফাউস্ সেকাম ফী যেয়ারাতে খায়রিল আনাম’ (৩৪ পৃষ্ঠা) কিতাবে বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه) হতে এ হাদীস নকল করেছেন।১২. ইবনে আব্দিল হাদী তাঁর ‘আস্ সারিম-উল-মুনকি’ (২৬৬-৭ পৃষ্ঠায়) পুস্তকে হাদিসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।১৩. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (رحمة الله) নিজ ‘আল-মাতালিব-উল-আলিয়্যাহ’ (৪:২২-৩ #৩৮৫৩) গ্রন্থে বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه)-এর সূত্রে। ১৪. ইবনে হাজার আসকালানী, তাকরিব ওয়াল তাহযিব, 1/478১৫. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী, লিসান আল মিজান, 2/পৃষ্ঠা: 395, হাদিস 1620১৬. আলাউদ্দীন আলী নিজস্ব ‘কানযুল উম্মাল’ পুস্তকে (১১:৪০৭ #৩১৯০৩) ইবনে সাআদের বর্ণিত হাদীসটি উদ্ধৃত করেন এবং হারিস হতেও একটি রওয়ায়াত উদ্ধৃত করেন (# ৩১৯০৪)।১৭. হাকিম তিরমিযী, নওদীর আল উসুল, 4/পৃষ্ঠা: 176১৮. ইমাম যাহাবি, মিজান আল ইতিদাল, 2, পৃষ্ঠা: 439১৯. ইমাম ইবনে আদি, আল কামিল, 3/পৃষ্ঠা: 76২০. ইমাম আজলুনি, কাশফ আল খিফা, 1/পৃষ্ঠা: 1178২১. ইমাম সাখাভীঃ আল কাউলুল বদী ফী সালাত আলাল হাবিব আশ শাফী (ﷺ), পৃষ্ঠা: 160২২. শাশীঃ আল মুসনাদস-শাশী, 2/253 পৃ, হাদিস নম্বর: 826২৩. আবু হাতিম, আল-জারহ ওয়াত-তাদিল, 6/64 পৃ২৪. শায়খ শু‘আয়েব আল-আরনা’উত, তাহরির আল-তাকরীব,2/379, হাদিস: 4160২৫. আল-মুগনি, 1/571, হাদীস: 3793২৬. ইবনে হিব্বান, কিতাব আল-মাজরুহিন, 2/160।২৭. কিতাব আল-হজ্ব, পৃষ্ঠা: (# 179)২৮. ইমাম দায়লামিঃ মুসনাদুল ফিরদুস, 1/183, হাদিস : 686২৯. ইমাম যাহাবিঃ সিয়ার আল আ'লাম আন নুবালা, 17/পৃষ্ঠা: 106৩০. ইমাম মিয্যিঃ তাহযিব আল কামাল, 14/পৃষ্ঠা: 558৩১. ইমাম ইবনে কাসিরঃ তাফসীরে ইবনে কাসীর, 3/ পৃষ্ঠা: 516৩২. ইমাম ইবনে কাসীরঃ ‘আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া’ (৪:২৫৭)। ৩৩. ইমাম জুরকানীঃ শরহে মাওহিব, 7/পৃষ্ঠা: 373৩৪. শায়খ আবদুল্লাহ আল-তালিদি, মানাহিল আল-সাফা ফী তাখরিজ আহাদীছ আশ-শিফা'র তাহযিব, পৃষ্ঠা। 458-459 (# 694)৩৫. আল-মুনাভি, ফয়জুল কাদির, 3/401৩৬. তারিখ আল-দাওরি, 2/370৩৭. আল-বুরকানী, পৃষ্ঠা 317৩৮. আন হামল আল-আসফার, 4/148৩৯. মাহমুদ মামদুহ, রাফউল-মিনারাহ’ আন তাখরিজ আহাদীস আল-জিয়ারা, 156-159 পৃ৪০. জুহদামি, ফাদ্বালুস সালাহ ‘আলান ন্যাবি (ﷺ), ১/৩৮-৩৯, হাদিস নম্বর: 25-26৪১. ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দি, কানজুল উম্মাল, 11/পৃষ্ঠা: 407, হাদিস নম্বরঃ 31904৪২. ফায়রোজ আবাদী, আস ছালাত ওয়াল বাশার ফিস সালাত আ'লা খায়েরুল বাশার, পৃষ্ঠা: 104-105৪৩. আল-মুনযিরি, তারগীব ওয়াল-তারাহীব 3: 343৪৪. ইমাম নাবহানীঃ হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন ফি মু'জাজাতুল মুরসালীন (ﷺ), পৃষ্ঠা: 713
উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন:
ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟْﺒَﺰَّﺍﺭُ، ﻭَﺭِﺟَﺎﻟُﻪُ ﺭِﺟَﺎﻝُ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢِ -
-‘‘উক্ত হাদীসের সমস্ত রাবী বুখারীর সহিহ গ্রন্থের ন্যায়।’’ তাই হাদিসটি সহিহ।
১.বাজ্জার,আল-মুসনাদ,৫/৩০৮পৃ.হাদিস,১৯২৫২.সুয়ূতি,জামিউস সগীর,১/২৮২পৃ.হাদিস,৩৭৭০-৭১৩.আল্লামা ইবনে কাছির ,বেদায়া ওয়ান নিহায়া,৪/২৫৭পৃ.৪. আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী,কানযুল উম্মাল,১১/৪০৭পৃ. হাদিস,৩১৯০৩৫.ইমাম ইবনে জওজী,আল-ওফা বি আহওয়ালি মোস্তফা,২/৮০৯-৮১০পৃ.৬. আল্লামা ইবনে কাছির,সিরাতে নববিয়্যাহ,৪/৪৫পৃ.
ইমাম ইবনুল হাজ্জ ও ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) বলেন:
وَقَدْ قَالَ عُلَمَاءُ نَالَا فَرْقَ بَيْنَ مَوْتِه وَحَيو تِه عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ مُشَاهِدَ تِه لِاُمَّتِهِ وَمَعرِ فَتِه بِاَحْوَ الِهِمْ وَنِيَّا تِهِمْ وَعَزَائِمِهِمْ وَخَوَاطِرِ هِمْ وَذلِكَ جَلِىٌّ عِنْدَهُ لَاخَفَاءَبِه
আমাদের সু-বিখ্যাত উলামায়ে কিরাম বলেন যে,হুযুর আলাইহিস সালামের জীবন ও ওফাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন,তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা ইত্যাদি জানেন। এগুলো তাঁর কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট। কোনরূপ অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতার অবকাশ নেই এখানে।
১. ইমাম ইবনুল হাজ্জ مدخل গ্রন্থে২. ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) مواهب (মাওয়াহিব) গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩৮৭ পৃষ্ঠায় ২য় পরিচ্ছেদে زيارة قبره شريف শীর্ষক বর্ণনা।
♦আনাস বিন মালিক (রাঃ) ও আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত ৩/৪ টি হাদীসের সমন্বিত অনুবাদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, "আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার)।আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার)। অতঃপর লোকজন নিরব হয়ে গেল!সায়্যেদা ওমর(রাঃ) বললেন "আমার পিতা মাতা আপনার উপর কোরবানী হউক (তাজিমার্থে)। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটা কিভাবে সম্ভব?
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,"আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারণঃ"আমি তোমাদের সাথে কথা বলি এবং তোমরা আমার সাথে কথা বল। "আমার উপর (দয়াময় রব আসমান থেকে) ওহী নাযিল করেন। আমি তোমাদেরকে বলে (সতর্ক করে) দেই তোমাদের জন্য কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত।"
"আর আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারণ প্রতি বৃহস্পতিবার এ তোমাদের কর্ম গুলো আমার নিকট ওপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন ভাল কাজ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমাদের প্রশংসা করব আর (এর জন্য প্রভুর) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব!""তোমাদের কোন পাপ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করব ।""
Reference :
1.Musnad of al-Harith with the Majma ‘ al-Zawa’id of Hafiz al-Haythami, 2/884 (#953)2.Abu Hatim in al-Jarh wa ’l-Ta ‘ dil , 6/643.ibn Hajar in Taqrib wa ’l-Tahdhib , 1/4784.Abu Dawud, Ahmad b. Hanbal, ibn Ma‘in, al-Nasa’i & ibn Sa‘d as well as by Shaykh Shu‘ayb al-Arna’ut in Tahrir al-Taqrib , 2/379 (#4160)5. Dr. Nur al-Din ‘Itr in his edition of al-Dhahabi’s, al-Mughni , 1/571 (#3793).6.Tarikh al-Dawri , 2/370; al-Burqani, p.317;7.the Tabaqat of ibn Sa‘d, 5/5008.ibn Hibban, Kitab al-Majruhin , 2/160.9.Kitab al-Hajj (#179).10. ibn Hajar al-‘Asqalani’s Matalib al -‘ Aliyah , 4/22.11.Kanz al- ‘ Ummal of al-Hindi (#31903-31904);12. ibn Mas‘ud by al-Bazzar in his Musnad , 1/397 (#)13. al-Suyuti in his Manahil al-Safa fi Takhrij Ahadith al-Shifa’ p.31 (#8)14.Khasa’is al-Kubra , 2/28115.Tahdhib of that book by Shaykh ‘Abd Allah al-Talidi, pp. 458-459 (#694)16. al-Munawi, Fayd al-Qadir , 3/40117. al-Haythami, Majma ‘ al-Zawa’id , 9/24 (#91)18.al-‘Iraqi in Tarh al-Tathrib fi Sharh al-Taqrib , 3/29719. an Haml al-Asfar , 4/148); ‘20.Abd Allah al-Talidi in the Tahdhib al-Khasa’is al-Kubra , pp.458-459 (#694)21. Mahmud Mamduh in his wonderful Raf ‘ al-Minarah ‘ an Takhrij Ahadith al-Ziyarah , pp.156-159.22.Fadl al-Salah ‘ ala ’l-Nabi , pp.36-39 (#25-26)23.Ali al-Qari ::Shifa of Qadi ‘Ayyad, 1/10224.Abd al-Hadi in al-Sarim al-Munki , p.21725.al-Albani::: Fadl al-Salah ‘ ala ’l-Nabi , p.37
উপরোক্ত এই হাদিস গুলো সব এখন ইংরেজীতে বিস্তারিত ভাবে পড়ুন :-
******************************************************
❏ Hadith 1 :
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ لِلَّهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلاَمَ قَالَ : وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : حَيَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُحَدِّثُونَ وَنُحَدِّثُ لَكُمْ ، وَوَفَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُعْرَضُ عَلَيَّ أَعْمَالُكُمْ ، فَمَا رَأَيْتُ مِنَ خَيْرٍ حَمِدْتُ اللَّهَ عَلَيْهِ ، وَمَا رَأَيْتُ مِنَ شَرٍّ اسْتَغْفَرْتُاللَّهَ لَكُمْ
The Holy Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because you hear traditions from people and relate them to others and my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me. If they're in good state, I'll thank and praise Allah (swt) on your behalf and if they're in bad state, I'll ask forgiveness for your sins on your behalf.
References:
1.From: BazzarBook: Al MusnadVolume: 5Page: 308Hadith number: 1925
2.From: ShashiBook: Al MusnadVolume: 2Page: 253Hadith number: 826
3.From: JuhdamiBook: Fadl As Salah ‘Alan NABI PEACE BE UPON HIMVolume: 1Page: 38-39Hadith number: 25-26
4.From: Ibn e Sa’dBook: TabqaatVolume: 2Page: 194
5.From: DaylamiBook: Musnad Al FirdoosVolume: 1Page: 183Hadith number: 686
6.From: HaithamiBook: Majma’ Az ZawaidVolume: 9Page: 24
7.From: ZahabiBook: Sayyir Al A’laam An NubalaVolume: 17Page: 106
8.From: MizziBook: Tahdheeb al KamalVolume: 14Page: 558
9.From: Hafiz Ibn e KatheerBook: Tafseer Al Quran Al AzeemVolume: 3Page: 516
10.From: ZurqaniBook: Sharah Al MawahibVolume: 7Page: 373
Discussion on its narrators (ruwaat)
1.’ AbdullahHe is ‘Abdullah Bin Mas’ud (RADI ALLAH TA’LA ANHU), the Sahabi e RASUL (PEACE BE UPON HIM).
2. ZadhaanShort biographyName: Zadhaan Abu 'Umar [Abu 'Umar]Death: 82 AHPlaces of stay: KufaGrade in Hadith: Sadooq
Comments of Muhadditheen:
1.زاذان أبو عبد الله مولى كندة سمع بن مسعود وعليا وابن عمر روى عنه ذكوان أبو صالح وعبد الله بن السائب وعمرو بن مرةZadhaan Abu Abdullah narrated hadith from ('Abdullah) Bin Mas'ud , Ali (‘Alahis Salam) and ('Abdullah) Bin Umer (RADI ALLAH TA’LA ANHUM).
And Dhakwan Abu Salih, 'ABDULLAH BIN SAIB and 'Amr bin marrah narrated from him (zadhaan)From: BukhariBook: Tareekh Al KabeerVolume: 3Rawi ID: 4349
2.زاذان أبو عبد الله ويقال أبو عمر الكندي مولاهم الكوفي الضرير البزار يقال أنه شهد خطبة عمر بالجابية وروى عنه وعن علي وابن مسعود وسلمان وحذيفة وأبي هريرة وعائشة وابن عمر وجرير والبراء بن عازب
Zadhaan Abu Abdullah, also popularly known as Abu Umer. He is among the people who attended the very famous sermon given by Hazrat Umar (Radi ALLAH Ta’ala Anhu) at a place called Jabiya. Abu Umer narrated hadith from some of the famous Sahaba which include Hazrat Ali, Ibn e Mas'ud , Salman, Huzaifah, Abu Hurairah, 'Ayesha, ibn e 'Umer, Jarir, Bara bin 'Azib (RADI ALLAH TA'LA ANHUM
+Imam ibn e Ma’in has declared him Thiqah (Trustworthy)+Imam ibn e 'Adi said: There is no harm in narratinghadith from him.+Imam Khateeb said: Zadhaan is Thiqah.+Imam 'Ajli said he is from kufa and a thiqah narrator.
»«»«»From: Ibn e Hajr 'AsqalaniBook: Tahdeeb at TahdheebVolume: 3ID: 2565
His narrations in Major books:
He is one of the narrators of Al Adab Al Mufrad of Imam Bukhari, Sahi Muslim, Tirmidhi, Abu Dawud, Nasai and Ibn e Majah.
***************************
❏ Hadith 2 :
Imam Haarith heard from Al Hasan bin Qutaibah, he heard from Jisr bin farqad, he heard from Bakr Bin Abdullah Al Muzani.
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم
حياتي خير لكم تحدثون ويحدث لكم ووفاتي خير لكم تعرض علي أعمالكم فما كان من حسن حمدت الله عليه وما كان من سيء استغفرت الله لكم
The Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:“My life is blissful for you because you hear traditions from people and relate them to others and my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me. If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I will pray for your forgiveness from Allah.”
This chain is Mursal Sahi.
Bakr ibn Abdullah Al-Muzani did not see the Prophet Muhammad (PEACE BE UPON HIM) so he has not named the companion he heard it from. Bakr was a tabi’i (of the second generation), and reported from Ibn ‘Abbas (RADI ALLAH TA’LA ANHU), Anas ibn Malik (RADI ALLAH TA’LA ANHU), Mughirah ibn Shu’bah (RADI ALLAH TA’LA ANHU) and others. It was said that he saw thirty of the companions.
+Ibn Sa’ad said of him, “He was trustworthy, established, impeccably honest, a proof (Hujjat), and he was a jurist!”+Imam Mulla Ali Qari said: The chain of narrators of this Hadith is Sahi.+And Imam Khifaji also said the same that: The chain of narrators of this Hadith is Sahi.
References:
1.From: Al Haarith in Al Musnad (Zawaid Al haithami)Book: Alamat An NubuwwahChapter : Hayatihi wa WafatihiVolume: 2Page: 884Hadith number : 953
2.From: Ibn e sa'dBook: Tabqaat Al KubraVolume: 2Page: 194
3.From: JuhdhamiBook: Fadl As Salat An NABI PEACE BE UPON HIMVolume: 1Page: 38-39Hadith number : 25-26
4.From: Ibn e JoziBook: Al Wafa bi Ahwaal Al Mustafa PEACE BE UPON HIMPage: 862Hadith number : 1564
5.From: HindiBook: kanzul A'malVolume: 11Page: 407Hadith number : 31904
6.From: SubkiBook: Shifa As SiqaamPage: 34
7.From: Imam Jalal ud Din SuyutiBook: Khasais Al KubraVolume: 2Page: 491
8.From: Mulla Ali QariBook: sharah ShifaVolume: 36From: Khifaji
9.Book: Naseem ur Riyadh Sharah shifa Qadi AyyadVolume: 1Page: 173From: Fayrooz Abadi
10.Book: As Salat wal Bashar fis Salat ala Khair il BasharPage: 104-105
***********************************************
❏ Hadith 3 :
It is narrated by Anas Bin Malik (Radi ALLAH TA’ALA ANHU) that the Holy Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because I receive revelation from the heavens and I tell you what's permissible and what is impermissible for you. Andmy death is also blissful for you because your deeds will be presented to me on every Thursday (in my grave). If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I willpray for your forgiveness from Allah.
Referance:
1.From: DaylamiBook: Musnad Al FirdosVolume: 2Page: 137Hadith number: 2701
2.From: Qadi AyyadBook: As ShifaPage: 19
3.From: Hakeem TirmidhiBook: Nawadir Al UsulVolume: 4Page: 176
4.From: ZahabiBook: Mizan Al ItidalVolume: 2Page: 439
5.From: Ibn e 'AdiBook: Al KaamilVolume: 3Page: 76
6.From: Ibn e Hajr 'AsqalaniBook: Lisan Al MizanVolume: 2Page: 395ID: 1620
7.From: 'AjluniBook: Kashaf Al KhifaVolume: 1Page: 1178
8.From: Imam Jalal ud Din suyutiBook: Al Hawi Lil FatawaVolume: 2Page: 3
❏ Hadith 4 :
And it is in another narration from Anas Bin Malik (RADI ALLAH TA’LA ANHU) that the Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because I speak with you and you speak with me. And my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me on every Thursday (in my grave). If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I will pray for your forgiveness from Allah.
1.From: SakhawiBook: Al Qaul Al Badi' Fee salat 'Ala Al Habeeb AshShafee'Page: 160
2.From: HindiBook: kanzul A'malVolume: 11Page: 407Hadith number: 31903
❏ Hadith 5 :
Hazrat Anas (RADI ALLAH TA’LA ANHU) said Prophet (PEACE BE UPON HIM) said: My life is bliss for you. (Thrice) My demise is bliss for you (thrice).Then people went quiet. Syedna Umer Farooq (RADI ALLAH TA’LA ANHU) said "May my parents be sacrifice upon you and then asked how's it possible?"
RASUL ALLAH (Peace Be Upon Him) said: My life is a blessing for you because I receive revelation fromthe heavens and I tell you what's permissible and what is impermissible for you. My demise is a blessing for you because every Thursday your deeds will be presented before me and if they're ingood state, I'll thank and praise Allah (SWT) on your behalf and if they're in bad state, I'll ask forgiveness for your sins on your behalf.
1.From: NabhaniBook: Hujjat ALLAH 'alal Alameen fee Mu’jazat Al Mursaleen PEACE BE UPON HIMPage: 713
2.From: Ibn e JoziBook: Al Wafa bi Ahwal Al Mustafa PEACE BE UPON HIMVolume: 1Page: 826Hadith number: 1565
🖋মাসুম বিল্লাহ সানি
প্রথমতঃ ৩ দিন অথবা চার মাস দশ দিনের বেশি শোক পালন করা নিষিদ্ধ
হাদিস ১ : হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
امرنا ان لا نحد علي ميت فوق ثلاث الا لزوج
অর্থ : আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমরা যেনো কারো ইন্তেকালে তিন দিন পর আর শোক প্রকাশ না করি। তবে স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে !'”
[বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুয়াত্তা মালিক শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারেমী শরীফ, মিশকাত শরীফ]
দ্বিতীয়তঃ এর জবাব দিয়েছেন দুই লক্ষ হাদিসের হাফেজ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (رحمة الله)
جوابه ان ولادته صلى الله عليه وسلم اعظم النعم علينا- ووفاته اعظم المصائب لنا- والشريعة حثت على اظهار شكر النعم والصبر السكون والكتم عند المصائب- وقد امر الشرع بالعقيقة عند الولادة وهى اظهار شكر وفرح بالمولود ولم يأمر عند الموت بذبح ولابغيره بل نهى عن النياحة واظهار الجزع فدلت قواعد الشريعة على انه يحسن فى هذا الشهر اظهار الفرح بولادته صلى الله عليه وسلم دون اظهار الحزن فيه بوفاته- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: জবাব, রাসূলে পাক (ﷺ) এর বেলাদত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামত এবং তাঁর ওফাত শরীফ আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মুসিবত। আর শরিয়ত উৎসাহিত করেছে নিয়ামতের শুকরিয়া প্রকাশের জন্য এবং বিপদ মুসিবতের সময় ধৈর্যধারণের মাধ্যমে নীরব থাকার জন্য। অতএব নবজাতকের জন্ম উপলে আক্বিকা করার শরয়ি হুকুম প্রকৃতপক্ষে শুকরিয়া ও আনন্দ প্রকাশের নামান্তর। অথচ কারো মৃত্যুতে পশু জবাই করে আনন্দ-উল্লাসের হুকুম শরিয়ত দেয়নি (এখানে ইসলে সওয়াবের উদ্দেশ্যে অন্যকে খাওয়ানোর জন্য কুরবানী নিষেধ বলা হয় নি)। বরং মর্সিয়া ও আহাজারি করতে নিষেধ করেছে। অতএব শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ইহাই প্রমাণিত হলো যে, উক্ত রবিউল আউয়াল মাসে রাসূলে পাক (ﷺ)-এর ওফাত উপলে চিন্তা পেরেশানী না করে তাঁর বেলাদতশরীফ উপলে আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা উত্তম কাজ।
[ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (رحمة الله) আল হাবী লিল ফাতাওয়া]
তৃতীয়তঃ রাসূল (ﷺ) না শুধু সকল নবীগণ ও শহিদগণ জীবিত। সুতরাং ওফাতুন্নবী পালন করে কেন শোক প্রকাশ করব?
হাদিস ২ : হযরত আউস ইবনে আউস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে,
عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اﷲِ صلي الله عليه وآله وسلم. إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامِکُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِيْهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيْهِ قُبِضَ وَفِيْهِ النَّفْخَةُ، وَفِيْهِ الصَّعْقَةُ فَأَکْثِرُوْا عَلَيَّ مِنَالصَّلَاةِ فِيْهِ، فَإِنَّ صَلَاتَکُمْ مَعْرُوْضَةٌ عَلَيَّ، قَالَ : قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اﷲِ! کَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْکَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَقُوْلُوْنَ : بَلِيْتَ قَالَ صلي الله عليه وآله وسلم : إِنَّ اﷲَ حَرَّمَ عَلَي الْأَرْضِ أَجْسَادَالْأَنْبِيَاءِ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমুয়ার দিন সর্বাধিক সেরা। কারণ ঐ দিন আদম (عليه السلام) সৃষ্টি করা হয়েছিল ঐ দিনই ওনার ওফাত হয়েছিল ।ঐ দিন সিঙ্গায় ফুত্কার দেয়া হবে আর ঐ দিনই (কিয়ামতের) চিত্কার শুরু হবে! তাই ঐ দিন বেশি বেশি করে আমার প্রতি দুরুদ পাঠাও। তোমাদের দুরুদ আমার নিকট (নিশ্চই) পৌঁছানো হবে। তাঁরা (সাহাবীগণ) জিজ্ঞাসা করলেন - আমাদের দরুদ আপনার ওফাতের পর আপনার উপরে কিরুপে পেশ করা হবে? আপনার বরকতময় মোবারক দেহ কি মাটিতে মিশে যাবে না?
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীগণের দেহকে ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. আবূ দাউদ: আস্ সুনান, কিতাবুস সালাত, ১/২৭৫, হা-১০৪৭ এবং কিতাবুস সালাত, ২/৮৮, হা-১৫৩১।
২. নাসাঈ: আস্ সুনান, কিতাবুল সালাহ : অধ্যায়: জুমু'আ, ৩/৯১, হা-১৩৭৪। এবং আস্ সুনানুল কুবরা, ১/৫১৯, হা-১৬৬৬।
৩.ইবনু মাজাহ্: আস্ সুনান, কিতাবু ইকামাতিস সালাত, ১/৩৪৫, হা-১০৮৫।
৪.দারেমী: আস্ সুনান, বই : জুমা, অধ্যায় : ফি ফদ্বল ইয়াওমাল জুমা ১/৪৪৫, হা-১৫৭২।
৫.আহমদ ইবনে হাম্বল: আল মুসনাদ, ৪/৮, হা-১৬২০৭। ২৬/৮৪, হা- ১৬১৬২
৬.ইবনে আবি শায়বাহ্: আল মুসান্নাফ, আস-সালাহ ২/২৫৩, হা-৭৬৯৭, ৬/৪০, হা- ৮৭৮৯
৭.ইবনে খুজায়মা: আস্ সহীহ, ৩/১১৮, হা-১৭৩৩-১৭৩৪।
৮.ইবনে হিব্বান: আস্ সহীহ, বই : আর-রাকাইক, অধ্যায় : আদিয়্যাহ : ৩/১৯০, হা-৯১০।
৯.হাকেম: আল মুসতাদরাক, ১/৪১৩, হা-১০২৯।
১০.বাযযার: আল মুসনাদ, ৮/৪১১, হা-৩৪৮৫
১১.তাবরানী: আল মু'জামুল আওসাত, ৫/৯৭, হা-৪৭৮০।
১২.তাবরানী: মু'জামুল কবীর, ১/২৬১, হা-৫৮৯।
১৩.বায়হাকী: আস্ সুনানুস সগীর, ১/৩৭১, হা-৬৩৪।
১৪.বায়হাকী: আস্ সুনানুল কুবরা, ৩/২৪৮, হা-৫৭৮৯। Or, অধ্যায় : আল- জুমুয়া : ৩/৩৫৩, হা-৫৯৯৩
১৫.বায়হাকী: শু'আবুল ঈমান, ৩/১০৯, হা-৩০২৯। Or অধ্যায় : ফাজাইলুস সালাতুন্নবী (ﷺ) ৪/৪৩২, হা-২৭৬৮
১৬. যাহদ্বামী: ফাদ্বলুস্ সালাতি আলান্ নবী, হা-২২।
১৭.ওয়াদীয়াশী: তুহফাতুল মুহতাজ, ১/৫২৪, হা-৬৬১।
১৮.আসকালানী: ফাতহুল বারী, ১১/৩৭০।
১৯.আযলূনী: কাশফুল খিফা, ১/১৯০, হা-৫০১।
২০.ইবনে কাসীর, তাফসীরিল কুরআনিল আযীম, ৩/৫১৫ সুরা আল-আহজাব ৫৬,
২১.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৪২৯ পৃ. হা/১৩৮১,
২২.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ
২৩.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।
হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা
☞ এ হাদিসকে ইমাম আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্, দারেমী, অাহমদ, ইবনু খুজায়মা এবং ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম হাকেম বলেন, এ হাদিস ইমাম বুখারীর শর্তাবলীর ভিত্তিতে সহীহ্ এবং
▶ ইমাম ওয়াদিয়াশীও বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু হিব্বান সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন এবং
▶ ইমাম আসক্বালানী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।
▶ ইমাম আজলুনী বলেন, ইহাকে ইমাম বায়হাকী উত্তম, মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
▶ইবনু কাছির বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা, ইবনু হিব্বান, দারু কুতনী এবং ইমাম নববী 'আল-আযকার' -এ সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।
হাদিস ৩ :হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلىالله عليه و سلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليهو سلم، رقم الحديث-1637
রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম - মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
"হ্যাঁ! আল্লাহ্ পাক নবীগণের শরীর মোবারাককে ভক্ষণ করা জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। তাই নবীগণ (কবরে) জীবিত আছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা রিজিকও পেয়ে থাকেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৬,
২. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৭
৩. ইবনে মাজাহ্ঃ ইকামাতুস সালাহ ওয়াস সুন্নাহ ফিহা : অধ্যায় ৭৯, ১/৩৪৫, হা- ১০৮৫
৪. মুনজারীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড- ২/২২৮পৃ, হাদিস: ২৫৮২।
৫. ইবনে কাসীরঃ তাফসীরু কুরআনিল আযীম, খন্ড- ৩/৫১৫পৃ, খন্ড- ৪/৪৯৩পৃ।
৬. মুনাবীঃ ফয়যুল কদীর, খন্ড- ২/৮২পৃ।
৭. আযুলুনীঃ কাশফুল খিফা, খন্ড- ১/১৯০পৃ, হাদিস: ৫০১
৮. সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,
৯. আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০,
১০. সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২,
১১. মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,
১২. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯
১৩. আবু দাউদ : আস সুনান, কিতাবুস সালাত : ১:২৭৫, হাদিস ১০৪৭
১৪. নাসাঈ : আস সুনান, অধ্যায় : জুমুয়া ৩:৯২
১৫. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ (৪:৮)
১৬. ইমাম ইবনে হিব্বান : আস সহীহ : (৩:১৯১, হাদিস ৯১০)
১৭. ইবনে খুজায়মাহ : আস সহীহ : (৩:১১৮, হাদিস ১৭৩৩)
১৮. ইমাম হাকিম : আল মুস্তাদরাক (১:২৭৮)
১৯. ইমাম তাবারানী : আল মুজমাউল কবীর (১:২১৭, হাদিস ৫৮৯)
২০. বায়হাকী : আস সুনান আল কুবরা : (৩:২৪৯).
২১.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।
২২. কিনানী, মিছবাহুয যুজাজাহ্। ২: ৫৮, ৫৯। হাদিস নম্বর:৬০২।
২৩. খতীবে তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ।১: ৩৯২। হাদিস নম্বর: ১৩৬৬।
২৪. মুনাবী, ফয়যুল কদীর। ২: ৮৭।
২৫. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ৩৫, ৩৬।
২৬. উনদুলুসী, তুহফাতুল মুহতাজ। ১: ৫২৬। হাদিস নম্বর: ৬৬৩।
২৭. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৬৩। হাদিস নম্বর: ১০৮।
২৮. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন । ৩: ৫১৪।
২৯. ইবনু কছীর, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। ৪: ২৫৮।
৩০. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৬৫।
৩১. মাযী, তাহযীবুল কামাল।১০: ২৩। হাদিস নম্বর: ২০৯০।
৩২. ফিরােজাবাদী, আস সিলাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার। ৭৫।
৩৩. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৫৮।
৩৪. শাওকানী, নাইলুল আওতার। ৩: ৩০৪, ৩০৫।
হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা
▶ এ হাদিসকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ সহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম মুনযেরী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ উত্তম-মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম মুনাবী বর্ণনা করেন যে, ইমাম দমীরী বলেন, ইহার রাভীগণ (বর্ণনাকারীগণ) নির্ভরযোগ্য।
▶ ইমাম আজলুনীও ইহাকে হাসান বলেছেন।
▶ ইমাম সাখাবী (রহঃ)'র অভিমত, হাদিসটির রিজাল (বিভিন্ন স্তরের রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য।
হাদিস ৪ : হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে,
عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ما من أحد يسلم على الا رد الله علي روحى حتى ارد عليه السلام -
رواه ابو داؤد والحمد والطبراني والبيهقي . وقال العسقلاني : رواه أبو داود ورواته ثقات، وقال الهيثمى : وفيه عبد الله بن يزيد الاسكندرانى ولم اعرفه ومهدى بن جعفر ثقه وبقية رجاله ثقات.
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যখন তােমাদের কেউ আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, এমনকি আমি তার সালামের জবাব দেই।"
তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, কিতাবু মানাসিক, ২/২১৮ পৃ. হা/২০৪১, সনদঃ সহিহ
২.আন-নাসাই তাঁর কিতাব আল-দু‘ফা ’ওয়া’ ই-মাতরুকিন, পৃষ্ঠা -১৬৮।
৩.আল দারিমির আল-তারিখ, পৃষ্ঠা ২৬০।
৪.ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১৬/৪৭৭ পৃ. হা/১০৮১৫,
৫.ইবনে ইসহাক আল রাহূইয়াহ তার মুসনাদে, ১/৪৫৩ (৫২৬ & ২০৪১)।
৬.ইবনে ‘আসাকির’ মুক্ততাসার তারিক দিমশাক, ২/৪০।
৭.আবু নু'আয়াম আল-ইস্পাহানীঃ আখবার আল-আসবাহান, ২/৩৫৩।
৮.তাবারানীঃ মুজাম আল-আসাতঃ ৩/২৬২ (৩০৯২, ৯৩২৯)/ ৪:৮৪, হাদীস নং ৩১১৬।
৯.আল-বায়হাকী আল-সুনান আল-কুবরা, ১/৫১৯: হাদীস ১৬৬৬, ৩/২৪৯: হাদীস ৫৭৮৯
১০.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ২: ২১৫। হাদিস নম্বর: ১৫৭১।
১১.মুনযিরী: আততারগিব ওয়াত তাহহীব মিনাল হাদীসিশ শরীফ, ২:৩৬২, হাদীস নং ২৫৭৩।
১২.ইমাম সুয়ূতীঃ আল-হাওই লিল ফাতওয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা নং ২৭১-২৭২
১৩.ইমাম আন নওয়াবী (رحمة الله) এই হাদীস সম্পর্কে বলেছেন: رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد صحيح অনুবাদ: এটি আবু দাউদ (রহঃ) "সহীহ সনদ" দ্বারা বর্ণনা করেছেন।
১৪.নাওয়াইল আল আওতার ৫/১৬৪।
১৫.রিয়াদ উস সালিহীন ১/২৫৫, হাদীস ১৪০২।
১৬.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন ও খাসায়েল মুস্তফা (ﷺ)
১৭.আলবানীর সংস্করণ জিয়ারাতুল কুবুরের অধীনে (# 2041) এটিকে "হাসান" বলেছে।
১৮.আলবানীঃ সিলসিলাহ আহাদিস আল-সহিহাহ [২২৬৬]
১৯.ইবনে হাজার আল-আসকালানী, তাকরিব-আল তাহযিব, ১/২০০।
২০.আসকালানী, ফতহুল বারী, ৬: ৪৮৮।
২১.আসকালানী, তালখীসুল জহীর। ২: ২৬৭।
২২.ইবনে আল-নাজ্জার, আখবার আল-মদীনা, পৃ .১৪৪।
২৩.তফসীরে ইবনে কাসীর, 6: 464।
২৪.হাফিজ আল-দারাকুতনী ইবন হিব্বান তাঁর আল-সিকাহ, ১৮৮ তে উদ্ধৃত করেছেন।
২৫.হায়সমী: মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, 1/162 এবং ১০:৩৪৯।
২৬.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯১ পৃ. হা ৯২৫।
২৭.আল্লামা মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১/৪৯১ পৃ. হা/২১৫৬,
২৮.মুরতদা আল-জাবেদী, ইতাফ আল-সাদাত আল- মুত্তাকিন, 4/419 এবং 10/365।
২৯.ইবনে রাহবীয়া: আল মুসনাদ, ১/৪৫৩, হাদিস: ৫২৬।
৩০.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।
৩১.আল-মিয্যিঃ তাহযিব আল-কামাল, 7/366।
৩২.মুনাবী, ফয়যুল কদীর ৫: ৪৬৭।
৩৩.উনদুলুসী, তােহফাতুল মােহতাজ। ২: ১৯০।
৩৪.আবু তাইয়িব, আওনুল মাবুদ। ৬: ১৯, ২০।
৩৫. যারকানী, শরহুল মুয়াত্তা। ৪: ৩৫৭।
৩৬. শাওকানী, নাইলুল আওতার ৫: ১৮০।
৩৭. ইবনু জাওযী, ছাফওয়াতুছ ছাফওয়া। ১: ২৩৩।
৩৮. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৬।
৩৯. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১: ৩০৬, ৩০৭, ৩০৮।
৪০. ইবনু কুদামা । আল মুগনী । ৩: ২৯৭, ২৯৮।
৪১. ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খইরিল বাশার । ১০৩, ১০৪।
৪২. সুয়ূতী, আল খাসায়িসুল কুবরা । ২: ২৮০।
৪৩. সুয়ূতী, আর রাসায়িলুলত্ তিস্'। ২৩৫।
৪৪. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী (ﷺ)।
হাদিসটির মান ও সনদ পর্যালোচনা :
▶এ হাদিসকে ইমাম আবূ দাউদ, আহমদ, তাবরানী এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।
▶ইমাম আসক্বালানীও বলেন,
ইহাকে ইমাম আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন এবং ইহার বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।
▶ইমাম হায়ছমীও বলেন, ইহার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াজিদ আল- ইস্কান্দারানী বর্ণনাকারীকে আমি চিনি না, যখন মাহদী ইবনু জাফর এবং অপরাপর সমস্ত বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।
চতুর্থতঃ রাসূল (ﷺ) হায়াত ও ওফাত উভয়ই আমাদের জন্য নেয়ামত
হাদিস ৫ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺔً ﺳَﻴَّﺎﺣِﻴﻦَ، ﻳُﺒَﻠِّﻐُﻮﻥَ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡَ ." ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺣَﻴَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﺤْﺪِﺛُﻮﻥَ ﻭَﻳُﺤَﺪَﺙُ ﻟَﻜَﻢْ، ﻭَﻭَﻓَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﻌْﺮَﺽُ ﻋَﻠَﻲَّ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ، ﻓَﻤَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﺣَﻤَﺪَﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻭَﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺷَﺮٍّ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔَﺮْﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻜَﻢ -
‘‘আমার হায়াত তোমাদের জন্য উত্তম। কেননা আমি তোমাদের সাথে কথা বলি তোমরাও আমার সাথে কথা বলতে পারছ। এমনকি আমার ওফাতও তোমাদের জন্য উত্তম নেয়ামত। কেননা তোমাদের আমল আমার নিকট পেশ করা হয় এবং আমি তা দেখি। যদি তোমাদের কোন ভাল আমল দেখি তাহলে আমি তোমাদের ভাল আমল দেখে আল্লাহর নিকট প্রশংসা করি, আর তোমাদের মন্দ কাজ দেখলে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য গুনাহ মাফের জন্য (তোমাদের পক্ষ হয়ে) ক্ষমা প্রার্থনা করি।’’
মুসনাদে বাযযারের সনদঃ
ইমাম বাযযার ➡ ইউসুফ বিন মূসা ➡ আবদুল মজিদ বিন আবদুল আজিজ বিন আবি রওয়াদ ➡ ইমাম সুফিয়ান সাওরি ➡ আবদুল্লাহ ইবনে সা’ইব➡ যাধান ➡ আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ (رضي الله عنه)
তথ্যসূত্রঃ
১. ইমাম হায়সামী (رحمة الله) মাজমাউয জাওয়াইদ, আলামাত আন নুবুউয়াঃ অধ্যায়: হায়াতিহি ওয়া ওয়াফতিহি, 2/884, হাদিস নম্বরঃ 953 ও 9/24, হাদিস: 91,পুস্তকে জানান যে, হাদীসটি আল-বাযযার তাঁর ’মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন এবং এর সকল ’রাবী’ (বর্ণনাকারী) সহীহ (মানে হাদীসটি সহীহ)।
২. ইবনুল ইরাকী, তারহ আল-তাথরিব ফী শারহ,(৩:২৯৭) তাঁর মতে হাদিসটি বিশুদ্ধতা।
৩. ইবনে সা’আদঃ আত-তাবাক্কাত-উল-কুবরা (২:১৯৪), (৫/৫০০)
৪. ইমাম কাজী আয়ায (رحمة الله) ‘আশ-শিফা’ গ্রন্থে (১:১৯)
৫. ইমাম সুয়ুতি, আল হাবি লিল ফাতাওয়া, 2
পৃষ্ঠা: 3
৬. ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله), ‘আল-খাসাইস আল-কুবরা’ (২:২৮১)
৭. ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله),‘মানাহিল-উস-শিফা ফী তাখরিজ-এ-আহাদীস আশ-শেফা’ 31 (# 8) তিনি বিবৃত করেন যে আবূ উসামাহ নিজ ‘মুসনাদ’ পুস্তকে বকর বিন আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه)-এর সূত্রে এবং আল-বাযযার তাঁর ‘মুসনাদ’ বইয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه)-এর সূত্রে সহীহ সনদে এই হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।
৮. খাফাযী স্বরচিত ‘নাসিমুর রিয়াদ’ (১:১০২) ও
৯. মোল্লা আলী কারী তাঁর ‘শরহে শিফা’(১:৩৬) এ হাদিসটি সমর্থন করেন।
১০. মুহাদ্দীস ইবনুল জাওযী এটি বকর বিন আব্দিল্লাহ (رضي الله عنه) ও হযরত আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه)-এর সূত্রে "আল ওয়ফা দ্বি আহওয়ালিল মুস্তাফা (ﷺ), পৃষ্ঠা: 862, হাদিস নম্বরঃ 1564
১১. ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী (رحمة الله) নিজ ‘শেফাউস্ সেকাম ফী যেয়ারাতে খায়রিল আনাম’ (৩৪ পৃষ্ঠা) কিতাবে বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه) হতে এ হাদীস নকল করেছেন।
১২. ইবনে আব্দিল হাদী তাঁর ‘আস্ সারিম-উল-মুনকি’ (২৬৬-৭ পৃষ্ঠায়) পুস্তকে হাদিসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১৩. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (رحمة الله) নিজ ‘আল-মাতালিব-উল-আলিয়্যাহ’ (৪:২২-৩ #৩৮৫৩) গ্রন্থে বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী (رضي الله عنه)-এর সূত্রে।
১৪. ইবনে হাজার আসকালানী, তাকরিব ওয়াল তাহযিব, 1/478
১৫. ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী, লিসান আল মিজান, 2/পৃষ্ঠা: 395, হাদিস 1620
১৬. আলাউদ্দীন আলী নিজস্ব ‘কানযুল উম্মাল’ পুস্তকে (১১:৪০৭ #৩১৯০৩) ইবনে সাআদের বর্ণিত হাদীসটি উদ্ধৃত করেন এবং হারিস হতেও একটি রওয়ায়াত উদ্ধৃত করেন (# ৩১৯০৪)।
১৭. হাকিম তিরমিযী, নওদীর আল উসুল, 4/পৃষ্ঠা: 176
১৮. ইমাম যাহাবি, মিজান আল ইতিদাল, 2, পৃষ্ঠা: 439
১৯. ইমাম ইবনে আদি, আল কামিল, 3/পৃষ্ঠা: 76
২০. ইমাম আজলুনি, কাশফ আল খিফা, 1/পৃষ্ঠা: 1178
২১. ইমাম সাখাভীঃ আল কাউলুল বদী ফী সালাত আলাল হাবিব আশ শাফী (ﷺ), পৃষ্ঠা: 160
২২. শাশীঃ আল মুসনাদস-শাশী, 2/253 পৃ, হাদিস নম্বর: 826
২৩. আবু হাতিম, আল-জারহ ওয়াত-তাদিল, 6/64 পৃ
২৪. শায়খ শু‘আয়েব আল-আরনা’উত, তাহরির আল-তাকরীব,2/379, হাদিস: 4160
২৫. আল-মুগনি, 1/571, হাদীস: 3793
২৬. ইবনে হিব্বান, কিতাব আল-মাজরুহিন, 2/160।
২৭. কিতাব আল-হজ্ব, পৃষ্ঠা: (# 179)
২৮. ইমাম দায়লামিঃ মুসনাদুল ফিরদুস, 1/183, হাদিস : 686
২৯. ইমাম যাহাবিঃ সিয়ার আল আ'লাম আন নুবালা, 17/পৃষ্ঠা: 106
৩০. ইমাম মিয্যিঃ তাহযিব আল কামাল, 14/পৃষ্ঠা: 558
৩১. ইমাম ইবনে কাসিরঃ তাফসীরে ইবনে কাসীর, 3/ পৃষ্ঠা: 516
৩২. ইমাম ইবনে কাসীরঃ ‘আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া’ (৪:২৫৭)।
৩৩. ইমাম জুরকানীঃ শরহে মাওহিব, 7/পৃষ্ঠা: 373
৩৪. শায়খ আবদুল্লাহ আল-তালিদি, মানাহিল আল-সাফা ফী তাখরিজ আহাদীছ আশ-শিফা'র তাহযিব, পৃষ্ঠা। 458-459 (# 694)
৩৫. আল-মুনাভি, ফয়জুল কাদির, 3/401
৩৬. তারিখ আল-দাওরি, 2/370
৩৭. আল-বুরকানী, পৃষ্ঠা 317
৩৮. আন হামল আল-আসফার, 4/148
৩৯. মাহমুদ মামদুহ, রাফউল-মিনারাহ’ আন তাখরিজ আহাদীস আল-জিয়ারা, 156-159 পৃ
৪০. জুহদামি, ফাদ্বালুস সালাহ ‘আলান ন্যাবি (ﷺ), ১/৩৮-৩৯, হাদিস নম্বর: 25-26
৪১. ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দি, কানজুল উম্মাল, 11/পৃষ্ঠা: 407, হাদিস নম্বরঃ 31904
৪২. ফায়রোজ আবাদী, আস ছালাত ওয়াল বাশার ফিস সালাত আ'লা খায়েরুল বাশার, পৃষ্ঠা: 104-105
৪৩. আল-মুনযিরি, তারগীব ওয়াল-তারাহীব 3: 343
৪৪. ইমাম নাবহানীঃ হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন ফি মু'জাজাতুল মুরসালীন (ﷺ), পৃষ্ঠা: 713
উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন:
ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟْﺒَﺰَّﺍﺭُ، ﻭَﺭِﺟَﺎﻟُﻪُ ﺭِﺟَﺎﻝُ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢِ -
-‘‘উক্ত হাদীসের সমস্ত রাবী বুখারীর সহিহ গ্রন্থের ন্যায়।’’ তাই হাদিসটি সহিহ।
১.বাজ্জার,আল-মুসনাদ,৫/৩০৮পৃ.হাদিস,১৯২৫
২.সুয়ূতি,জামিউস সগীর,১/২৮২পৃ.হাদিস,৩৭৭০-৭১
৩.আল্লামা ইবনে কাছির ,বেদায়া ওয়ান নিহায়া,৪/২৫৭পৃ.
৪. আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী,কানযুল উম্মাল,১১/৪০৭পৃ. হাদিস,৩১৯০৩
৫.ইমাম ইবনে জওজী,আল-ওফা বি আহওয়ালি মোস্তফা,২/৮০৯-৮১০পৃ.
৬. আল্লামা ইবনে কাছির,সিরাতে নববিয়্যাহ,৪/৪৫পৃ.
ইমাম ইবনুল হাজ্জ ও ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) বলেন:
وَقَدْ قَالَ عُلَمَاءُ نَالَا فَرْقَ بَيْنَ مَوْتِه وَحَيو تِه عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ مُشَاهِدَ تِه لِاُمَّتِهِ وَمَعرِ فَتِه بِاَحْوَ الِهِمْ وَنِيَّا تِهِمْ وَعَزَائِمِهِمْ وَخَوَاطِرِ هِمْ وَذلِكَ جَلِىٌّ عِنْدَهُ لَاخَفَاءَبِه
আমাদের সু-বিখ্যাত উলামায়ে কিরাম বলেন যে,হুযুর আলাইহিস সালামের জীবন ও ওফাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন,তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা ইত্যাদি জানেন। এগুলো তাঁর কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট। কোনরূপ অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতার অবকাশ নেই এখানে।
১. ইমাম ইবনুল হাজ্জ مدخل গ্রন্থে
২. ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) مواهب (মাওয়াহিব) গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩৮৭ পৃষ্ঠায় ২য় পরিচ্ছেদে زيارة قبره شريف শীর্ষক বর্ণনা।
♦আনাস বিন মালিক (রাঃ) ও আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত ৩/৪ টি হাদীসের সমন্বিত অনুবাদঃ
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, "আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার)।আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর (৩ বার)। অতঃপর লোকজন নিরব হয়ে গেল!সায়্যেদা ওমর(রাঃ) বললেন "আমার পিতা মাতা আপনার উপর কোরবানী হউক (তাজিমার্থে)। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন এটা কিভাবে সম্ভব?
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,"আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারণঃ
"আমি তোমাদের সাথে কথা বলি এবং তোমরা আমার সাথে কথা বল। "আমার উপর (দয়াময় রব আসমান থেকে) ওহী নাযিল করেন। আমি তোমাদেরকে বলে (সতর্ক করে) দেই তোমাদের জন্য কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত।"
"আর আমার ওফাত ও তোমাদের জন্য কল্যাণকর কারণ প্রতি বৃহস্পতিবার এ তোমাদের কর্ম গুলো আমার নিকট ওপস্থিত করা হবে। তোমাদের কোন ভাল কাজ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমাদের প্রশংসা করব আর (এর জন্য প্রভুর) কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব!"
"তোমাদের কোন পাপ দেখলে তার জন্য আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা করব ।""
Reference :
1.Musnad of al-Harith with the Majma ‘ al-Zawa’id of Hafiz al-Haythami, 2/884 (#953)
2.Abu Hatim in al-Jarh wa ’l-Ta ‘ dil , 6/64
3.ibn Hajar in Taqrib wa ’l-Tahdhib , 1/478
4.Abu Dawud, Ahmad b. Hanbal, ibn Ma‘in, al-Nasa’i & ibn Sa‘d as well as by Shaykh Shu‘ayb al-Arna’ut in Tahrir al-Taqrib , 2/379 (#4160)
5. Dr. Nur al-Din ‘Itr in his edition of al-Dhahabi’s, al-Mughni , 1/571 (#3793).
6.Tarikh al-Dawri , 2/370; al-Burqani, p.317;
7.the Tabaqat of ibn Sa‘d, 5/500
8.ibn Hibban, Kitab al-Majruhin , 2/160.
9.Kitab al-Hajj (#179).
10. ibn Hajar al-‘Asqalani’s Matalib al -‘ Aliyah , 4/22.
11.Kanz al- ‘ Ummal of al-Hindi (#31903-31904);
12. ibn Mas‘ud by al-Bazzar in his Musnad , 1/397 (#)
13. al-Suyuti in his Manahil al-Safa fi Takhrij Ahadith al-Shifa’ p.31 (#8)
14.Khasa’is al-Kubra , 2/281
15.Tahdhib of that book by Shaykh ‘Abd Allah al-Talidi, pp. 458-459 (#694)
16. al-Munawi, Fayd al-Qadir , 3/401
17. al-Haythami, Majma ‘ al-Zawa’id , 9/24 (#91)
18.al-‘Iraqi in Tarh al-Tathrib fi Sharh al-Taqrib , 3/297
19. an Haml al-Asfar , 4/148); ‘
20.Abd Allah al-Talidi in the Tahdhib al-Khasa’is al-Kubra , pp.458-459 (#694)
21. Mahmud Mamduh in his wonderful Raf ‘ al-Minarah ‘ an Takhrij Ahadith al-Ziyarah , pp.156-159.
22.Fadl al-Salah ‘ ala ’l-Nabi , pp.36-39 (#25-26)
23.Ali al-Qari ::Shifa of Qadi ‘Ayyad, 1/102
24.Abd al-Hadi in al-Sarim al-Munki , p.217
25.al-Albani::: Fadl al-Salah ‘ ala ’l-Nabi , p.37
উপরোক্ত এই হাদিস গুলো সব এখন ইংরেজীতে বিস্তারিত ভাবে পড়ুন :-
******************************************************
❏ Hadith 1 :
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ لِلَّهِ مَلاَئِكَةً سَيَّاحِينَ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلاَمَ قَالَ : وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : حَيَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُحَدِّثُونَ وَنُحَدِّثُ لَكُمْ ، وَوَفَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُعْرَضُ عَلَيَّ أَعْمَالُكُمْ ، فَمَا رَأَيْتُ مِنَ خَيْرٍ حَمِدْتُ اللَّهَ عَلَيْهِ ، وَمَا رَأَيْتُ مِنَ شَرٍّ اسْتَغْفَرْتُاللَّهَ لَكُمْ
The Holy Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because you hear traditions from people and relate them to others and my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me. If they're in good state, I'll thank and praise Allah (swt) on your behalf and if they're in bad state, I'll ask forgiveness for your sins on your behalf.
References:
1.
From: Bazzar
Book: Al Musnad
Volume: 5
Page: 308
Hadith number: 1925
2.
From: Shashi
Book: Al Musnad
Volume: 2
Page: 253
Hadith number: 826
3.
From: Juhdami
Book: Fadl As Salah ‘Alan NABI PEACE BE UPON HIM
Volume: 1
Page: 38-39
Hadith number: 25-26
4.
From: Ibn e Sa’d
Book: Tabqaat
Volume: 2
Page: 194
5.
From: Daylami
Book: Musnad Al Firdoos
Volume: 1
Page: 183
Hadith number: 686
6.
From: Haithami
Book: Majma’ Az Zawaid
Volume: 9
Page: 24
7.
From: Zahabi
Book: Sayyir Al A’laam An Nubala
Volume: 17
Page: 106
8.
From: Mizzi
Book: Tahdheeb al Kamal
Volume: 14
Page: 558
9.
From: Hafiz Ibn e Katheer
Book: Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume: 3
Page: 516
10.
From: Zurqani
Book: Sharah Al Mawahib
Volume: 7
Page: 373
Discussion on its narrators (ruwaat)
1.’ Abdullah
He is ‘Abdullah Bin Mas’ud (RADI ALLAH TA’LA ANHU), the Sahabi e RASUL (PEACE BE UPON HIM).
2. Zadhaan
Short biography
Name: Zadhaan Abu 'Umar [Abu 'Umar]
Death: 82 AH
Places of stay: Kufa
Grade in Hadith: Sadooq
Comments of Muhadditheen:
1.
زاذان أبو عبد الله مولى كندة سمع بن مسعود وعليا وابن عمر روى عنه ذكوان أبو صالح وعبد الله بن السائب وعمرو بن مرة
Zadhaan Abu Abdullah narrated hadith from ('Abdullah) Bin Mas'ud , Ali (‘Alahis Salam) and ('Abdullah) Bin Umer (RADI ALLAH TA’LA ANHUM).
And Dhakwan Abu Salih, 'ABDULLAH BIN SAIB and 'Amr bin marrah narrated from him (zadhaan)
From: Bukhari
Book: Tareekh Al Kabeer
Volume: 3
Rawi ID: 4349
2.
زاذان أبو عبد الله ويقال أبو عمر الكندي مولاهم الكوفي الضرير البزار يقال أنه شهد خطبة عمر بالجابية وروى عنه وعن علي وابن مسعود وسلمان وحذيفة وأبي هريرة وعائشة وابن عمر وجرير والبراء بن عازب
Zadhaan Abu Abdullah, also popularly known as Abu Umer. He is among the people who attended the very famous sermon given by Hazrat Umar (Radi ALLAH Ta’ala Anhu) at a place called Jabiya. Abu Umer narrated hadith from some of the famous Sahaba which include Hazrat Ali, Ibn e Mas'ud , Salman, Huzaifah, Abu Hurairah, 'Ayesha, ibn e 'Umer, Jarir, Bara bin 'Azib (RADI ALLAH TA'LA ANHUM
+Imam ibn e Ma’in has declared him Thiqah (Trustworthy)
+Imam ibn e 'Adi said: There is no harm in narratinghadith from him.
+Imam Khateeb said: Zadhaan is Thiqah.
+Imam 'Ajli said he is from kufa and a thiqah narrator.
»«»«»From: Ibn e Hajr 'Asqalani
Book: Tahdeeb at Tahdheeb
Volume: 3
ID: 2565
His narrations in Major books:
He is one of the narrators of Al Adab Al Mufrad of Imam Bukhari, Sahi Muslim, Tirmidhi, Abu Dawud, Nasai and Ibn e Majah.
***************************
❏ Hadith 2 :
Imam Haarith heard from Al Hasan bin Qutaibah, he heard from Jisr bin farqad, he heard from Bakr Bin Abdullah Al Muzani.
قال رسول الله صلى الله عليه و سلم
حياتي خير لكم تحدثون ويحدث لكم ووفاتي خير لكم تعرض علي أعمالكم فما كان من حسن حمدت الله عليه وما كان من سيء استغفرت الله لكم
The Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
“My life is blissful for you because you hear traditions from people and relate them to others and my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me. If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I will pray for your forgiveness from Allah.”
This chain is Mursal Sahi.
Bakr ibn Abdullah Al-Muzani did not see the Prophet Muhammad (PEACE BE UPON HIM) so he has not named the companion he heard it from. Bakr was a tabi’i (of the second generation), and reported from Ibn ‘Abbas (RADI ALLAH TA’LA ANHU), Anas ibn Malik (RADI ALLAH TA’LA ANHU), Mughirah ibn Shu’bah (RADI ALLAH TA’LA ANHU) and others. It was said that he saw thirty of the companions.
+Ibn Sa’ad said of him, “He was trustworthy, established, impeccably honest, a proof (Hujjat), and he was a jurist!”
+Imam Mulla Ali Qari said: The chain of narrators of this Hadith is Sahi.
+And Imam Khifaji also said the same that: The chain of narrators of this Hadith is Sahi.
References:
1.
From: Al Haarith in Al Musnad (Zawaid Al haithami)
Book: Alamat An Nubuwwah
Chapter : Hayatihi wa Wafatihi
Volume: 2
Page: 884
Hadith number : 953
2.
From: Ibn e sa'd
Book: Tabqaat Al Kubra
Volume: 2
Page: 194
3.
From: Juhdhami
Book: Fadl As Salat An NABI PEACE BE UPON HIM
Volume: 1
Page: 38-39
Hadith number : 25-26
4.
From: Ibn e Jozi
Book: Al Wafa bi Ahwaal Al Mustafa PEACE BE UPON HIM
Page: 862
Hadith number : 1564
5.
From: Hindi
Book: kanzul A'mal
Volume: 11
Page: 407
Hadith number : 31904
6.
From: Subki
Book: Shifa As Siqaam
Page: 34
7.
From: Imam Jalal ud Din Suyuti
Book: Khasais Al Kubra
Volume: 2
Page: 491
8.
From: Mulla Ali Qari
Book: sharah Shifa
Volume: 36
From: Khifaji
9.
Book: Naseem ur Riyadh Sharah shifa Qadi Ayyad
Volume: 1
Page: 173
From: Fayrooz Abadi
10.
Book: As Salat wal Bashar fis Salat ala Khair il Bashar
Page: 104-105
***********************************************
❏ Hadith 3 :
It is narrated by Anas Bin Malik (Radi ALLAH TA’ALA ANHU) that the Holy Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because I receive revelation from the heavens and I tell you what's permissible and what is impermissible for you. Andmy death is also blissful for you because your deeds will be presented to me on every Thursday (in my grave). If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I willpray for your forgiveness from Allah.
Referance:
1.
From: Daylami
Book: Musnad Al Firdos
Volume: 2
Page: 137
Hadith number: 2701
2.
From: Qadi Ayyad
Book: As Shifa
Page: 19
3.
From: Hakeem Tirmidhi
Book: Nawadir Al Usul
Volume: 4
Page: 176
4.
From: Zahabi
Book: Mizan Al Itidal
Volume: 2
Page: 439
5.
From: Ibn e 'Adi
Book: Al Kaamil
Volume: 3
Page: 76
6.
From: Ibn e Hajr 'Asqalani
Book: Lisan Al Mizan
Volume: 2
Page: 395
ID: 1620
7.
From: 'Ajluni
Book: Kashaf Al Khifa
Volume: 1
Page: 1178
8.
From: Imam Jalal ud Din suyuti
Book: Al Hawi Lil Fatawa
Volume: 2
Page: 3
❏ Hadith 4 :
And it is in another narration from Anas Bin Malik (RADI ALLAH TA’LA ANHU) that the Prophet (Peace Be Upon Him) is reported to have said:
My life is blissful for you because I speak with you and you speak with me. And my death is also blissful for you because your deeds will be presented to me on every Thursday (in my grave). If I see the virtues prevail, I will be grateful to Allah, and if I see the vices prevail, I will pray for your forgiveness from Allah.
1.
From: Sakhawi
Book: Al Qaul Al Badi' Fee salat 'Ala Al Habeeb AshShafee'
Page: 160
2.
From: Hindi
Book: kanzul A'mal
Volume: 11
Page: 407
Hadith number: 31903
❏ Hadith 5 :
Hazrat Anas (RADI ALLAH TA’LA ANHU) said Prophet (PEACE BE UPON HIM) said: My life is bliss for you. (Thrice) My demise is bliss for you (thrice).
Then people went quiet. Syedna Umer Farooq (RADI ALLAH TA’LA ANHU) said "May my parents be sacrifice upon you and then asked how's it possible?"
RASUL ALLAH (Peace Be Upon Him) said: My life is a blessing for you because I receive revelation fromthe heavens and I tell you what's permissible and what is impermissible for you. My demise is a blessing for you because every Thursday your deeds will be presented before me and if they're ingood state, I'll thank and praise Allah (SWT) on your behalf and if they're in bad state, I'll ask forgiveness for your sins on your behalf.
1.
From: Nabhani
Book: Hujjat ALLAH 'alal Alameen fee Mu’jazat Al Mursaleen PEACE BE UPON HIM
Page: 713
2.
From: Ibn e Jozi
Book: Al Wafa bi Ahwal Al Mustafa PEACE BE UPON HIM
Volume: 1
Page: 826
Hadith number: 1565
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবন ও ওফাত উভয়ই কল্যাণকরঃ
Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম
on
1:41 AM
Rating:
No comments: