কন্ট্রাক্ট করে ওয়াজে টাকা নেয়া কি জায়েজ?

উত্তর:- কন্ট্রাক্ট করে ওয়াজে টাকা নেয়া জায়েজ নেই
----------------------------------------------
 লেখক:- সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী 
 
🖋আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, اتَّبِعُوا مَن لَّا يَسْأَلُكُمْ أَجْرًا وَهُم مُّهْتَدُونَ "অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।" (৩৬ঃ২১) আরো অসংখ্য আয়াত আছে যা বলছে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য বিনিময় না চাইতে, তাদেরকেই অনুসরণ করতে যারা দ্বীনের দাওয়াতের বিনিময় চায় না। কাজেই কন্ট্রাক্ট করে ওয়াজ করে হাদিয়া নেয়া জায়েজ নেই। যে যা দেয় তার দিকে তাকাবেন না। পকেটে পুরে চলে আসুন। আর যদি দাবী করেন হাদিয়া, কন্ট্রাক্ট যদি করেন তবে বলুন আমি বিজনেস করছি। এটাকে দয়া করে দ্বীনের দাওয়াতের নাম দেবেন না। আপনি দ্বীনের জন্য কিছু করছেন না। একনিষ্ঠা নাই আপনার মাঝে। তবে আয়োজকদের কেউ কেউ অনেক ক্ষেত্রেই (সবাই না) দুই নাম্বারি করেন। মানুষের কাছ থেকে ওয়াজের কথা বলে চাঁদা নেন৷ যা বক্তাদেরকে না দিয়ে নিজেদের পকেটে পুরার চেষ্টা করেন অথবা এর পরের বছরের জন্য টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। অনেক সময় অনেক কষ্ট করে গাড়িভাড়া করে দূর দূরান্তে বক্তারা যান, আর তাদেরকে গাড়িভাড়াটাও ঠিকমত দেন না আয়োজকরা। এটাও অনেক বড় জুলুম ও বেইনসাফি। এককথায় ওয়াজ মাহফিলকে আমরা বিজনেস বানিয়ে দিয়েছি সবাই মিলে। বেশিরভাগ বক্তা ও অনেক আয়োজক এর জন্য দায়ী। একই কথা খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন সাহেবদের জন্যও প্রযোজ্য। আবু দাউদ শরিফে ও হাদিসের অন্যান্য কিতাবে সহিহ সনদে হাদিস এসেছে এগুলোর জন্য বিনিময় চাওয়া যাবে না। খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিন সাহেবও নিজ থেকে বেতন চাইতে পারবেন না৷ মানুষজন ঠিক করবে কত দেবে, না দেবে। তবে তা যেন ইনসাফপূর্ণ হয়৷ এই কঠিন সময়ে একজন আলিম ইজ্জতের সাথে যেন চলাফেরা করতে পারেন তার দিকে মসজিদ কমিটিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।  আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইখলাসের সাথে দ্বীনের খেদমত করার তওফিক দান করুন।
 আমিন
কন্ট্রাক্ট করে ওয়াজে টাকা নেয়া কি জায়েজ? কন্ট্রাক্ট করে ওয়াজে টাকা নেয়া কি জায়েজ? Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম on 7:32 AM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.