রাসুল ﷺএর সৃষ্টি বিষয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী’র দৃষ্টিভঙ্গি

রাসুল ﷺএর সৃষ্টি বিষয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী’র দৃষ্টিভঙ্গিঃ

দেওবন্দের ওলামাগণ অর্থাৎ ওহাবীরা যাকে হাকিমুল উম্মত উপাধিতে ভূষিত করে থাকেন তিনি হলেন মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (মৃতঃ১৩৬২ হি.)।মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব এর অন্যতম সিরাত গ্রন্থ “ নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিব” এর ২৫ পৃষ্টায় রাসূল ﷺনূরের সৃষ্টি মর্মে একটি অধ্যায় রচনা করেছেন।এই কিতাবটি বাংলা অনুবাদও করেছে বেহায়া ওহাবীরা, নাম দিয়েছে “যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা” অনুবাদ করেছেন সাবেক ইমাম ও খতিব লালবাগ শাহী মসজিদ, মাওলানা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
যাক আশরাফ আলী থানবী অধ্যায়টির নাম দিয়েছেন, “নূরে মোহাম্মদী ﷺএর বর্ণনা”।
তারপর মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব হযরত যাবের( (رضي الله عنهএর হাদিস এভাবে বর্ণনা শুরু করেন-
“প্রথম বর্ণনাঃ যাবের رضي الله عنهহতে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ।আমাকে বলুন,আল্লাহ তা’আলা সবকিছুর পূর্বে কি সৃষ্টি করেছেন? হুজুর ﷺ ফরমালেন, হে যাবের! নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সবকিছুর পূর্বে তাঁর নূরের ফয়েজ হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন।অতঃপর ঐ নূর খোদায়ী কুদরতে যেখানে আল্লাহর ইচ্ছা ভ্রমণ করতে থাকে।তখন লওহ,কলম,জান্নাত,জাহান্নাম,ফেরেশতা,আসমান,জমীন,সূর্য,চন্দ্র,দানব,মানব কিছুই ছিল না।
অতঃপর যখন আল্লাহপাক বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলেন,তখন ঐ নূরকে চারভাগে বিভক্ত করেন।একভাগ দ্বারা কলম সৃষ্টি করলেন,দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা লওহ,আর তৃতীয় ভাগ দ্বারা আরশ সৃষ্টি করেন……….” এরপর সুদীর্ঘ হাদিস রয়েছে।“
★★আশরাফ আলী থানবী, নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিব,২৫ পৃঃ,মারকাযে মা’রিফ হাকিমুল উম্মত,বায়তুশ শরফ,থানাবন,মুজাফফর নগর,ইউপি, ভারত থেকে প্রকাশিত।

হযরত যাবের رضي الله عنه এর বর্ণিত হাদিসটি বর্ণনা করে তিনি এর ব্যাখ্যায় লিখেন-
“এ হাদিস দ্বারা বাস্তবিক পক্ষে সর্বপ্রথম নূরে মুহাম্মদী ﷺসৃষ্টি হওয়া প্রমাণিত।কেননা যেসব সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রথম সৃষ্টি বলে হাদিসে বর্ণনায় এসেছে।ওইসব সৃষ্টি ‘নূরে মুহাম্মদী’ থেকে পরে সৃষ্টি হবার বিষয়টি আলোচ্য হাদিস দ্বারা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।“
★★নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিবঃ২৫ পৃঃ

মাওলানা আশরাফ আলী থানবী তার এ গ্রন্থে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেন-
“হযরত আলী رضي الله عنهহতে বর্ণিত নিশ্চয়ই নবী করীম ﷺইরশাদ করেন,আমি আদম (আঃ) সৃষ্টি হওয়ার চৌদ্দ(১৪) হাজার বছর পূর্বে আমার প্রতিপালকের সমীপে নূর আকারে বিদ্যমান ছিলাম।“
★★নশরুত্তীব ফি যিকরেন্নাবিয়িল হাবিবঃ২৬ পৃঃ

তিনি তার লেখা আরেকটি গ্রন্থ লিখেছেন-
“এ কথা প্রসিদ্ধ যে,আমাদের হুজুর ﷺএর ছায়া ছিল না।আমাদের হুজুর ﷺএর আপাদমস্তক নূরানী ছিলেন।হুজুর ﷺএর মধ্যে নামমাত্রও অন্ধকার ছিল না।কেননা ছায়ার জন্য অন্ধকার অপরিহার্য।“
★★আশরাফ আলী থানবীঃশুকরুন নিমাতির বিযিকরি রাহমানির রাহমাতিঃ পৃষ্টাঃ৩৯

দেওবন্দের এই হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী সাহেব তার লিখিত অপর আরেকটি গ্রন্থ “ছালজুছ সুদুর” এ লিখেন- “ হুজুর ﷺনিজেই স্বয়ং নূর এবং কোরআন শরীফ নামক নূরের অধিকারী।সুতারাং উভয়ে মিলে কেন নূরুন আ’লা নূর অর্থাৎ নূরের উপর নূর হবেন না?”

দেখুন উর্দু ও বাংলা কিতাবের ছবিঃ










রাসুল ﷺএর সৃষ্টি বিষয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী’র দৃষ্টিভঙ্গি রাসুল ﷺএর সৃষ্টি বিষয়ে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী’র দৃষ্টিভঙ্গি Reviewed by মইনীয়া যুব ফোরাম on 9:46 PM Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.